মানুষে-মানুষে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অসামান্য - ত্রিপুরায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

বিনোদন প্রতিবেদক ।।

মানুষে-মানুষে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অসামান্য - ত্রিপুরায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মানুষে-মানুষে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অসামান্য - ত্রিপুরায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চলচ্চিত্র জীবনের কথা বলে, সমাজের দর্পণ হিসেবে মানুষের হৃদয়কে আন্দোলিত করে, হাসায়, কাঁদায়, স্বপ্ন দেখায়, জীবনের নতুন নতুন দিক উন্মোচন করে। চলচ্চিত্র তার নির্মাণের সময়ের জীবনযাত্রাকে ইতিহাসে ধরে রাখে। তাই মানুষের কথা, মানুষের ভাবনা তুলে ধরতে চলচ্চিত্রের অবদান অনবদ্য। সে কারণে মানুষে-মানুষে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অসামান্য। চলচ্চিত্র উৎসবও বন্ধুত্ব গড়তে তাৎপর্যমন্ডিত।

রোববার সন্ধ্যায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মিলনায়তনে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় আগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন আয়োজিত প্রথম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার মানুষ শুধু রাজ্য নয়, বাংলাদেশিদের জন্য খুলে দিয়েছিল তাদের মনের দুয়ার। সে সময় ত্রিপুরার লোকসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ, সেখানে বাংলাদেশি শরণার্থীর সংখ্যাও ছিল ১৫ লাখ। বাংলাদেশ তাই সমগ্র ভারতের সঙ্গে ত্রিপুরার অবদানের কথাও চিরদিন স্মরণ করবে।

মন্ত্রী এ সময় সমগ্র ভারতের জনগণ ও সরকারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ভারতের সহযোগিতা ছাড়া এত দ্রুত মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব ছিল না।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক সীমানায় বিভক্ত হলেও বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা এক, একই জলবায়ুতে একই নদীর অববাহিকায় দুদেশের মানুষের জন্ম ও বেড়ে ওঠা, একই পাখির কলতানে মুগ্ধতা। দুদেশের মানুষের বন্ধুত্বও তাই সীমানা ছাড়িয়ে।

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার কীরিটি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষি, পর্যটন ও পরিবহনমন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের মধ্যে স্বপন ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন।

ত্রিপুরার কৃষি, পর্যটন ও পরিবহনমন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায় বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুদেশের সম্পর্ককে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করে তুলতে সংস্কৃতি, পরিবহন, বাণিজ্যসহ সব খাতে যে আন্তরিকতার দৃষ্টি দিয়েছেন, আমাদের সবার দায়িত্ব সে উদ্যোগগুলোকে ত্বরান্বিত করা।

এ উৎসবে আমাদের বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা কী করে আমাদের হলো, বিশ^ আঙিনায় অমর একুশ, জাগে প্রাণ পতাকায়, জাতীয় সংগীত, পুত্র, খাঁচা, ভুবন মাঝি, গেরিলাসহ মুক্তিযুদ্ধ ও সমকালীন জীবনভিত্তিক ২০টি চলচ্চিত্র তিন দিনব্যাপী প্রদর্শিত হচ্ছে।