মাইজভাণ্ডার প্রেম ও ভক্তির অপূর্ব সমন্বয়ক্ষেত্র - খোশরোজে মুজিবুল বাশার

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি ।।

মাইজভাণ্ডার প্রেম ও ভক্তির অপূর্ব সমন্বয়ক্ষেত্র - খোশরোজে মুজিবুল বাশার
মাইজভাণ্ডার প্রেম ও ভক্তির অপূর্ব সমন্বয়ক্ষেত্র - খোশরোজে মুজিবুল বাশার

লাখো ভক্তের আমিন-আমিন ধ্বনিতে গত সোমবার শেষ হলো মাইজভাণ্ডারী সূফিবাদ দর্শনের দ্বিতীয় প্রাণপুরুষ শাহসূফী সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভাণ্ডারীর (ক.) ১৫৭তম খোশরোজ শরীফ।

এ উপলক্ষে মাইজভাণ্ডারের বিভিন্ন মঞ্জিলে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্যে বিশ্বশান্তি-ঐক্য কামনায় মোনাজাত করা হয়।

জানা গেছে, গত দু’দিন ধরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ভক্ত জনতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মাইজভাণ্ডার শরীফ। বাবা ভাণ্ডারীর সমাধিস্থল ঘিরে জিয়ারত, কোরআন তিলাওয়াত, দরূদ শরিফ পাঠ, মিলাদ-কিয়াম ও মোনাজাতে শামিল হয়ে আল্লাহর দরবারে অশ্রুসিক্ত ফরিয়াদ জানান ভক্তরা।

সোমবার বাদে জোহর বাবা ভাণ্ডারীর জীবনাদর্শ আলোচনা সভায় গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ মুজিবুল বশর মাউজভাণ্ডারী (মজিআ) উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তিনি বলেন, মাইজভাণ্ডারী দর্শন বিশ্বব্যাপী সাম্য, মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ব ও ইনসাফের অমিয়ধারা ছড়িয়ে দিচ্ছে। মানবের দায়িত্ব, নৈতিকতা সৃষ্টিতে এই দর্শনের অবদান অপরিসীম। মাইজভাণ্ডার শরিফের মধ্যমণি মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এবং বাবা ভাণ্ডারী সৈয়দ গোলামুর রহমান (র.) ছিলেন আধ্যাত্মিক সাধনায় সিদ্ধ পুরুষ। এঁদের আধ্যাত্মিক সাধনার মহিমায় কালক্রমে মাইজভাণ্ডারকে উন্নীত করেছে মাইজভাণ্ডার শরীফে। এখানে এসে হাজারো ভক্ত নিজেদের আধ্যাত্মিক ক্ষুধা আর তৃষ্ণা নিবারণ করে। নর-নারী, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মাইজভাণ্ডার আজ এক মহাতীর্থভূমি। মাইজভাণ্ডার প্রেম ও ভক্তির এক অপূর্ব সমন্বয়ক্ষেত্র। এ সময় শাহজাদা সৈয়দ নুরুল বশর মাইজভাণ্ডারী, সাবেক সাংসদ টিপু সুলতান, আ ফ ম জামাল, প্রফেসর শায়েস্তা খান, মো. এয়াকুব আলী, মাওলানা সৈয়দ নিজামুল হক, মাওলানা মফিজুর রহমান, মাওলানা দিদারুল আলম, মাওলানা জাগির হোসেন, জামাল উদ্দিন, আবদুছ ছালাম সরকার, এম হাসেম, কামালউদ্দিন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।