ভোট দিলেন যাঁরা , তাঁরাই নাগরিক নন ! - প্রশ্ন মমতার

ভোট দিলেন যাঁরা , তাঁরাই নাগরিক নন ! - প্রশ্ন মমতার
নৈহাটি উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

পোস্টকার্ড (আন্তর্জাতিক) ডেস্ক ।।

বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে যাঁদের ভোটে জিতে, এখন তাঁদের কাছেই নাগরিকত্বের প্রমাণ চাইছে—সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় এবার এই যুক্তিতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ভোট নেওয়ার সময় যাঁরা ‘নাগরিক’ এখন তাঁরা নাগরিক বলে স্বীকৃতি পাবেন না কেন? তাঁদের আবার নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে কোন যুক্তিতে?’’

এদিন ‘নৈহাটি উৎসবে’র উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, “কাউকে বাংলাছাড়া হতে দেব না, দেশছাড়া হতে দেব না। আপনাদের কোনও চিন্তা নেই। আপনাদের লড়াই আমি লড়ব। আপনাদের সব চিন্তা, সব দায় আমাকে দিন। দেখি কারা আপনাকে এ দেশ থেকে তাড়াতে পারে।”  মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানান, এ রাজ্যের সব উদ্বাস্তু কলোনিকেই তাঁর সরকার বৈধতা দিয়েছে। ফলে কোনও কলোনির বাসিন্দাকে কেউ তাড়াতে পারবে না। আজ না হলে কাল তাঁদের সকলেই জমির পাট্টা পাবেন।

উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার এই সীমান্ত শহরে দাঁড়িয়ে দুই জেলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষকেও নতুন নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে সতর্ক করে দেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘নয়া আইনে কিন্তু নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিচ্ছে না, যা তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।’’ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘‘উদ্বাস্তু মতুয়াদের অনেকেই ইতিমধ্যে নাগরিক হয়ে গিয়েছেন। প্রমাণাভাবে যদি তাঁদের নাম জাতীয় নাগরিক পঞ্জিতে না ওঠে, তা হলে তাঁদের ফের বিদেশী ঘোষণা করে পাঁচ বছর পরে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তা হলে যাঁরা চাকরি বা ব্যবসা করেন, যে ঘরবাড়ি করেছেন তার কী হবে?’’ বিজেপির নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটা দল লিফলেট বিলি করছে। ওদের বিশ্বাস করবেন না। যারা বোঝাতে আসবে তাঁদের প্রশ্ন করবেন। শুনেছি, নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে টাকাও তুলছে।’’

২০১১ সালে শুরু হলেও এবারই প্রথম ‘নৈহাটি উৎসব’-এ আসেন মুখ্যমন্ত্রী। গত লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্রের পরাজয়ের পরে এই এলাকার বেশ কয়েকটি পুরসভা এবং পঞ্চায়েত তাঁদের হাতছাড়া হয়। এখন অবশ্য তার প্রায় সবই পুনর্দখল করেছে তৃণমূল। সে কথা মাথায় রেখে দলের ‘পুরনো সৈনিক’দের তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন হেলকপ্টারে এলেো এদিন ব্যারাকপুরের ভিতর দিয়ে সড়কপথে কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

- আনন্দবাজার পত্রিকা।