বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

আদালত ডেস্ক ।। 

পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় (ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর) প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার সংশ্লিষ্ট কোর্টের বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর এ মামলার ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ের অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হবে।


বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন এ মামলার রায়ে। এর আগে রায়ে স্বাক্ষর করেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

হাইকোর্ট রায়ে ১৩৯ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। এ রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ের অনুমোদন প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হলো।

২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর টানা দুইদিনে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। সেই রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১৫২ আসামির মধ্যে ১৩৯ জনের ফাঁসির রায় বহাল থাকে। একইসঙ্গে আটজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেয়া হয়। অন্যদিকে এ মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টু হাইকোর্টের বিচার চলাকালে মারা যান।

এদিকে বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া ১৬০ জন আসামির মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে দুইজন আসামির মৃত্যু এবং ১২ জনকে খালাস দেয়া হয়।


উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান মোট ৭৪ জন।

পরে ওই ঘটনায় মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে ১৫২ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।