বিস্ফোরণের আড়াই মাস পর সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো আংশিক চালু

বিস্ফোরণের আড়াই মাস পর সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো আংশিক চালু
বিস্ফোরণের আড়াই মাস পর সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো আংশিক চালু

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি।।

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো বিস্ফোরণের আড়াই মাস পর খালি কন্টেইনার সংরক্ষণ ও পরিবহনের আংশিক কাজ শুরু করেছে । সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকালে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে ডিপো কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার পর এ মাসে ডিপো কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ আগস্ট শুধু খালি কনটেইনার ওঠানো-নামানো ও সংরক্ষণের অনুমতি দেয় কাস্টমস। অনুমতিপত্রে দুটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। এই শর্তের একটি হলো পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র ১৫ দিনের মধ্যে নিতে হবে। আরেকটি হলো ১৫ দিনের মধ্যে কাছাকাছি কোনো অগ্নিনির্বাপণ কার্যালয় বা ফায়ার স্টেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করতে হবে।

বিএম কন্টেইনার ডিপোর মহাব্যবস্থাপক নাজমুল আখতার খান বলেন, ‘বিএম ডিপোতে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কাস্টমের অনুমতি পাওয়ার পর খালি কনটেইনার ওঠানো-নামানো শুরু হয়েছে। আবার ডিপো থেকে খালি কন্টেইনার বন্দরে পাঠানো হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার নুর উদ্দিন মিলন জানান, বিএম ডিপোকে শর্ত সাপেক্ষে শুধু খালি কন্টেইনার ওঠানো–নামানো ও সংরক্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর অনুমতির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৮৪২ বক্স ২৭০১টিউস খালি কন্টেইনার নামানো হয়েছে। এছাড়া ২৩১ বক্স ৩৩৩টিউস রপ্তানিতব্য কন্টেইনার আউট,২১৩ বক্স ৪০৭ টিউস আমদানিতব্য কন্টেইনার খালাস করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুন রাতে বিএম ডিপোতে আগুন থেকে বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ ৫১ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন দুই শতাধিক। ডিপোর একাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। দুর্ঘটনায় রপ্তানি পণ্যবাহী ১৫৪ কনটেইনার এবং আমদানি পণ্যবাহী দুটি কন্টেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;