বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বসল থার্মাল স্ক্যানার

বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বসল থার্মাল স্ক্যানার
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বসল থার্মাল স্ক্যানার

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক।।

বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বসানো হয়েছে থার্মাল ইমেজ ডিটেকশন মেশিন।

চীন থেকে নভেল করোনাভাইরাস অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে।

তাতে কারও মধ্যে জ্বর ধরা পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। নভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য তার নমুনা পাঠানো হচ্ছে আইইডিসিআরে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরে এতদিন হ্যান্ড হেলথ ইনফ্রায়েড থার্মোমিটার দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল।

মঙ্গলবার দুপুরে থার্মাল ইমেজ ডিটেকশন মেশিনটি বসানো হয় বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এম জেড এ শরিফ।

তিনি বলেন, “থার্মাল ইমেজ ডিটেকশন আসার পর তার মাধ্যমে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।”

বৈশ্বিকভাবে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর থেকে শাহ আমানতে এ পর্যন্ত বিদেশ ফেরত ৪০ হাজারের উপর যাত্রীকে পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এখনও করোনাভাইরাসের কোনো রোগী ধরা পড়েনি।

শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজারের মতো যাত্রী বিদেশে যাওয়া-আসা করে বলে জানান এয়ারপোর্ট ম্যানেজার উইং কমান্ডার সারোয়ার ই আলম।

এই বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি এবং ভারতের দুটি রুটে বিমান যাওয়া-আসা করে।

সারওয়ার  বলেন, যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি তারা কোন দেশ থেকে আসছে এবং তাদের সবধরনের তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিদিন বিদেশে যাওয়া আসা করা যাত্রীদের পথসহ বিভিন্ন এলাকা নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে বলেও জানা ন তিনি।

বন্দরের স্ক্যানারটি গেল ঢাকায়

বিদেশি নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য আসা থার্মাল ইমেজ ডিটেকশন মেশিনটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে।

দেশের ব্যস্ততম বিমানবন্দর শাহজালালের একটি মেশিন অকেজো হয়ে পড়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বন্দর কর্মকর্তারা জানান।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন  বলেন, বন্দরে এখনও হ্যান্ড হেলথ ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

“এখানের জন্য থার্মাল ইমেজ ডিটেকশন মেশিন বরাদ্দ থাকলেও প্রয়োজনের বিষয়টি মাথায় রেখে ঢাকা বিমানবন্দরে জরুরি ভিত্তিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ মেশিন বন্দরের জন্য আসবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।’’

এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে জাহাজে করে আসা প্রায় সাড়ে চার হাজার ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান ডা. মোতাহার।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, চীন থেকে আসা বিভিন্ন জাহাজ সরাসরি জেটিতে বার্থিং না দিয়ে আসার পথসহ ১৪ দিন হিসেব করে আউটারে রেখে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে জাহাজের বার্থিং হচ্ছে।