‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত মানে জাতির অস্তিত্বের ওপর আঘাত’

‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত মানে জাতির অস্তিত্বের ওপর আঘাত’
‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত মানে জাতির অস্তিত্বের ওপর আঘাত’

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। আর জাতির পিতার ওপর আঘাত মানেই বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত।’ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এসময় বিভাগীয় কমিশনার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাস্তায় নামাবেন না। রাস্তায় নামালে আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে না। আমরা চাই না, এই ধরনের ইস্যু নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনো প্রতিবাদে হাজির হই। আমাদের কাজ সেবা দেওয়া। সেই কাজটি আমরা করতে চাই। যদি আপনারা সেই কাজটি করতে বাধা দেন, অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করেন তাহলে সরকারি কর্মচারীরা বসে থাকবে না।’

এ বি এম আজাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর যে আঘাত, এ আঘাত শুধু আঘাত হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এটি গভীর ষড়যন্ত্রের একটি নমুনা। এ ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানের যে পরাজিত শত্রু, যারা কখনোই সেই পরাজয় মেনে নিতে পারছে না। তাদের সে আচরণটি সময়ে সময়ে বেরিয়ে আসে। সেই আচরণের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে জাতির পিতার নির্মীয়মান ভাস্কর্যের ওপর আঘাত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এটি নিয়ে প্রতিবাদ না করি, তাহলে এই পরাজিত শক্তি আরও বড় ধরনের অপকর্ম করার সুযোগ পাবে।’

চট্টগ্রাম বিভাগের শীর্ষ এই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ এখানে আমরা যারা সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত আছি- আমাদের সচেতন থাকতে হবে, চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমরা শুধু একটি মেসেজ দেয়ার জন্য এখানে দাঁড়িয়েছি। এই যে পরাজিত শত্রু, স্বাধীনতাবিরোধী শত্রু, বাংলাদেশের অস্তিত্ব যারা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে, তাদের সে দুঃসাহস না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে চট্টগ্রামে বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বক্তব্য দেন।