ঢাবিতে মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন ঘড়ি স্থাপন ১০ জানুয়ারি

ঢাবিতে মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন ঘড়ি স্থাপন ১০ জানুয়ারি

ঢাবি প্রতিনিধি ।।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ২০২০ সালের ১৭ মার্চ। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। ১০ জানুয়ারি ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে কাউন্টডাউন ঘড়ি স্থাপনের মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষের কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) মোজাফ্ফর আহমেদ অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৫-৯৬ সেশনের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ডস অ্যালায়েন্স (ডুফা)’- এর তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষ-২০২০’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে এবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে। ২০২০ সালে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আমরা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ১০ জানুয়ারি রাজু ভাস্কর্যে কাউন্টডাউন ঘড়ি চালুর মাধ্যমে মুজিববর্ষের কর্মসূচি শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ১৯টি কাউন্টডাউন ঘড়ি চালু করবেন। ঘড়িটি এইদিনে স্থাপেনর কারণ হলো- ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার কন্যা শেখ হাসিনা, পুত্র শেখ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। সবকিছু মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা দায়বদ্ধতা আছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর পূর্ণ অবয়ব ভাস্কর্য নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েছি। বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ডক্টর অব লজ ডিগ্রি প্রদান করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশ বিষয়ে জনসচেতনতায় কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, আগামী ১৮ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশ্বের ১০০ জন বিজ্ঞানী নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। রাষ্ট্রপতি এতে উপস্থিত থাকার সম্মতি জানিয়েছেন। ‘International Year of Plant Health (IYPH)-2020’ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় এটি আয়োজন করা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এ ধরনের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ডুফার আহবায়ক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বক্তৃতা দেন।

এর আগে অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়।