ডিপোগুলো যেন মৃত্যুফাঁদ, দাহ্য-রাসায়নিকে ভাসছে চট্টগ্রাম

ডিপোগুলো যেন মৃত্যুফাঁদ, দাহ্য-রাসায়নিকে ভাসছে চট্টগ্রাম
ডিপোগুলো যেন মৃত্যুফাঁদ, দাহ্য-রাসায়নিকে ভাসছে চট্টগ্রাম

আলমগীর হোসেন ও ইব্রাহিম খলিল ।।

দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দরনগরী চট্টগ্রাম । এখানে রয়েছে ছোট-বড় কয়েক হাজার শিল্প-কারখানা। এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং বন্দরকেন্দ্রিক আমদানি-রফতানিমুখী পণ্য মজুদ-ব্যবস্থাপনায় গড়ে উঠেছে সরকারি-বেসরকারি অনেকগুলো বিশাল আয়তনের কন্টেইনার ডিপো। এসব ডিপো এখন চট্টগ্রামের মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় আতঙ্কের বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো ডিপো যেন মৃত্যুফাঁদ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বন্দরেই ৩২১ কন্টেইনার দাহ্য বা রাসায়নিক পণ্য মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি চারটি ডিপোতে মজুদ রয়েছে ১১৩ কন্টেইনার হাইড্রোজেন পার অক্সাইড। এর বাইরে আরও একাধিক ডিপোতে বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থ মজুদের খবর রয়েছে। এগুলোর কোনোটিতে যদি অগ্নিকাণ্ড বা বিস্ফোরণ ঘটে তবে তার ভয়াবহতা কী হতে পারে তা নিয়েই উৎকণ্ঠায় স্থানীয়রা। বিশেষ করে গত ৪ জুলাই সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিভীষিকাময় বিস্ফোরণে বহু মানুষের হতাহতের ঘটনায় নতুন করে এসব আতঙ্কের সৃষ্টি। ডিপোর নিরাপত্তা-সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে সংশ্লিষ্টদের। সরেজমিন চট্টগ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, নিরাপত্তা কিংবা সুরক্ষামূলক তেমন ব্যবস্থাপনা নেই অধিকাংশ কন্টেইনার ডিপোতে। বড় বড় কন্টেইনার ‘হ্যান্ডেলিং’ এবং সংরক্ষণে যে ধরনের ব্যবস্থাপনা থাকা উচিত তার কিছুই নেই। সাধারণ শেডের নিচে যত্রতত্র কন্টেইনার রাখা হচ্ছে। কোনটির মধ্যে রাসায়নিক আর কোনটিতে খাদ্যপণ্য বা পোশাকপণ্য তা সহজে বোঝার উপায় নেই। এ ছাড়া ডিপোর শ্রমিক থেকে শুরু করে কন্টেইনার ব্যবস্থাপনায় নিযুক্তদের মধ্যে সুরক্ষামূলক কোনো ব্যবস্থা তেমন দেখা যায়নি। মাথায় হেলমেট, পায়ে উঁচু রাবার-প্লাস্টিকের জুতা বা শরীরে বিশেষ পোশাক থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তা কমই দেখা গেছে।

গত ৮ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে বেসরকারি ইছাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কন্টেইনার ইয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৯৬ একর আয়তনের এই ডিপোতে হাজার হাজার কন্টেইনার বিভিন্ন প্রান্তে রাখা। সেখানে ক্রেন দিয়ে কিছু কন্টেইনার ওঠানো বা নামানোর কাজ চলছিল। কিন্তু সেখানে নিয়োজিতদের কারও মধ্যেই নিরাপত্তা বা সুরক্ষামূলক তেমন কিছু চোখে পড়েনি। কোন কন্টেইনারে কী আছে তা জানতে চাইলে একাধিক কর্মী বলেন, তারা কিছুই জানেন না। যেভাবে নির্দেশনা আসে সেভাবে শুধু কাজ করে থাকেন। কম-বেশি একই অবস্থা বিরাজ করছে বেসরকারি ১৬টি কন্টেইনার ডিপোতেও।

ডিপো সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর বিস্ফোরণের ঘটনা যেন মহাবিপদ সঙ্কেত। কারণ চট্টগ্রাম বন্দর, কর্ণফুলী ইউরিয়া সার কারখানা এবং বেসরকারি আরও চারটি কন্টেইনার ডিপোতে যে পরিমাণে দাহ্য ও বিষাক্ত রাসায়নিক থাকার তথ্য মিলেছে তা সত্যিই অবাক করার মতো।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর চারটি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে ১১৩ কন্টেইনার হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এখন রফতানির অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরেও রয়েছে চার থেকে ১০ বছরের পুরনো ৩২১ কন্টেইনার বিভিন্ন জাতীয় দাহ্য ও বিষাক্ত রাসায়নিক। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল), কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড, ইউনাইটেড বিদ্যুৎকেন্দ্র, ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানা, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) কারখানায় মজুদ রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৪০০ টন অ্যামোনিয়াম গ্যাস, যা দেখে এ খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দাহ্য ও বিষাক্ত রাসায়নিকের ওপর ভাসছে চট্টগ্রাম।

বিভিন্ন দাহ্য ও রাসায়নিক ঝুঁকির মধ্যে থাকার কথা স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক। তিনি সময়ের আলোকে বলেন, গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর ভয়াবহ দুর্ঘটনায় টনক নড়েছে সবার। ফলে তড়িঘড়ি করে ৬ জুন দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের শেডে পড়ে থাকা ৩০ টন হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করে দেয় কাস্টমস। এর মধ্যে ৭ জুন দুপুরে বন্দর শেডে একটি কন্টেইনারে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে কন্টেইনারটি সরিয়ে বন্দরকে বিপদমুক্ত করা হয়। এসব ঘটনা চট্টগ্রাম বন্দর চরম ঝুঁকি মনে করছে। ফলে বন্দরের জেটি এলাকায় বিভিন্ন শেডে পড়ে থাকা চার থেকে দশ বছরের পুরনো ৩২১ কন্টেইনার তীব্র দাহ্য প্রকৃতির রাসায়নিক নিলামে বিক্রির জন্য চিঠি দেওয়া হয় কাস্টমসকে। তিনি বলেন, কাস্টমস আইন অনুযায়ী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এ নিয়ম না মানছে না। ফলে একদিকে শেডে কন্টেইনার জট তৈরি করছে। অন্যদিকে দাহ্য ও রাসায়নিকবাহী কন্টেইনার বন্দরকে ঝুঁকিতে ফেলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আওতায় নগরীর পতেঙ্গা ও সীতাকুণ্ডে ১৬টি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) রয়েছে। এসব ডিপো থেকে ৩৮ রকমের আমদানি পণ্যের কন্টেইনার বহনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে রফতানি পণ্যের কন্টেইনার বহনে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তা ছাড়া এসব ডিপো থেকে কী ধরনের রফতানি পণ্যের কন্টেইনার ওঠানামা করা হয় তার কোনো তথ্য বন্দরের কাছে নেই।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, বাধ্যবাধকতা না থাকায় বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোগুলো থেকে বিভিন্ন দাহ্য ও বিষাক্ত রাসায়নিক রফতানি হয়ে থাকে। বর্তমানে নগরীর চারটি ডিপোতে ১১৩ কন্টেইনার হাইড্রোজেন পার অক্সাইড রফতানির অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর মেইন লাইন অপারেটরসহ (এমএলও) একাধিক শিপিং লাইন্স সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এসব দাহ্য ও বিষাক্ত রাসায়নিক পরিবহন করা হবে না, যা গত ৮ জুন থেকে পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে কন্টেইনার ডিপো ও সিএলে সবচেয়ে বেশি হাইড্রোজেন পার অক্সাইডবাহী কন্টেইনার আটকা পড়েছে। এই ডিপোতে ৪২টি কন্টেইনারে কঠিন এবং ৭টি কন্টেইনারে তরল হাইড্রোজেন পার অক্সাইড রয়েছে। এ ছাড়া পোর্টলিঙ্কে ৩৩টি কন্টেইনার, ইস্টার্ন লজিস্টিকে ২৪টি কন্টেইনার এবং কে অ্যান্ড টি লজিস্টিকে ৭টি কন্টেইনারভর্তি হাইড্রোজেন পার অক্সাইড রয়েছে। বন্ডেড এরিয়ায় এসব কন্টেইনারের অবস্থান হওয়ায় এগুলো সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন অফডক মালিকরা।

এ বিষয়ে কথা বলতে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোটস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) মহাসচিব ও ইছাক কন্টেইনার ইয়ার্ডের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রুহুল আমিন সিকদারের সঙ্গে চট্টগ্রামে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ হয়। তিনি সময়ের আলোকে বলেন, এরই মধ্যে দুয়েকটি শিপিং এজেন্ট শিপমেন্ট বাতিল করে দিয়েছে। কাস্টমস অনুমতি নেওয়ার পরও এই কন্টেইনারগুলো থেকে মাল বের করে আবার রফতানিকারককে ফেরত দেওয়ার যে প্রক্রিয়া সেটি কিন্তু বিলম্বিত হচ্ছে। যেটা আমরা একেবারেই অনভিপ্রেত মনে করি। আমরা চাই, যদি ক্যান্সেল হয়ে যায় তা হলে যেন রফতানিকারকরা দ্রুত সেগুলো তাদের ফ্যাক্টরিতে ফিরিয়ে নিয়ে যান।

সাধারণভাবে রাসায়নিক কন্টেইনার মজুদের প্রসঙ্গে বিকডা মহাসচিব বলেন, ‘আমরা গত মাসেও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড রফতানি করেছি। অন্য চারটি ডিপোতেও আরও ১১৩ কন্টেইনার হাইড্রোজেন পার অক্সাইড আছে। এটা কোনো সমস্যা নয়, সমস্যা অন্য কোথাও। কেননা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকে বিএম ডিপোর মতো এত বড় বিস্ফোরণ ঘটার কথা নয়। তা ছাড়া আমাদের এসব ডিপোতে রাসায়নিক মজুদ বলতে যা বোঝানো হচ্ছে সেগুলো ‘হ্যান্ডেলিংয়ের’ যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেই। কেউ সেটা মজুদ করে রাখে কি না আমার জানা নেই। আমাদের বেসরকারি যেসব ডিপো পরিচালিত হচ্ছে সেগুলোর ব্যবস্থাপনা যা আছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। তবে আরও আধুনিকায়নের প্রয়োজন আছে।’

এদিকে অফডকগুলোতে বিপজ্জনক হাইড্রোজেন পার অক্সাইড আটকা পড়ায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সহসভাপতি রাকিবুল আলম। তিনি সময়ের আলোকে বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। বিএম কন্টেইনার ডিপোতে সংঘটিত বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জের ধরে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড রফতানি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়ায় এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।’

জানা গেছে, ২০১৬ সালে কর্ণফুলী সার কারখানা কমপ্লেক্সে ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি-১) সার কারখানায় একটি অ্যামোনিয়া গ্যাসের ট্যাঙ্ক ছিদ্র হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে ট্যাঙ্কটি অন্তত ৫০ ফুট দূরে উড়ে গিয়ে পড়ে। এতে নির্গত হয়ে যায় ট্যাঙ্কের প্রায় ৪০০ টন অ্যামোনিয়া গ্যাস। ফলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, হালিশহর, ইপিজেড, আগ্রাবাদ, আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা পর্যন্ত প্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধযুক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস। এতে অ্যামোনিয়ার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুশতাধিক মানুষ শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আশপাশের নদী, পুকুর, জলাশয়ের মাছ ও পশু-পাখিসহ মারা যায় বিপুলসংখ্যক প্রাণী। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্ষেতের ফসল। বিবর্ণ হয়ে পড়ে গাছপালা। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সিইউএফএলের অ্যামোনিয়া বর্জ্যরে বিষাক্ত পানি পান করে ১৩ মহিষের মৃত্যু ঘটে। এর আগে ১৪ এপ্রিল ৪টি ও সর্বশেষ ৬ মে ৮টি মহিষের মৃত্যু হয়। এভাবে প্রতিবছর সিইউএফএলের বর্জ্যরে বিষাক্ত পানি খেয়ে অনেক গবাদিপশু মারা যায়।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম শাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, সিইউএফএল, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড, ইউনাইটেড বিদ্যুৎকেন্দ্র, ডিএপি সার কারখানা, জিটিসিএল কারখানায় প্রতিটি ৪০০ টন মজুদের ৬টি ট্যাঙ্ক রয়েছে। এগুলোর একটিতে দুর্ঘটনা ঘটলে কর্ণফুলী-আনোয়ারায় কেউ বেঁচে থাকবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানার নিরাপত্তার বিভাগের প্রধান আবদুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালে বিস্ফোরণের পর আমরা অনেকটা সতর্ক রয়েছি। কারখানার নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সবসময় প্রস্তুত থাকি। আমরাও ভয়ে থাকি কখন বিস্ফোরণ ঘটে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল হোসেন বলেন, ইউরিয়া উৎপাদনে যে রাসায়নিক ব্যবহার হয় তা এমনিতে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব কারখানায় যে রাসায়নিক মজুদের ডিপো বা সঞ্চালন লাইন রয়েছে তা যদি দুর্ঘটনা রোধে সক্ষম না হয় তা হলে যেকোনো সময় বড় বিপর্যয় ঘটবে। তিনি বলেন, এমনিতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিজে কোনো বিস্ফোরক পদার্থ নয়, তবে বিশেষ কিছু অবস্থায় তা বিস্ফোরকে পরিণত হতে পারে। তখন যে বিপর্যয় হবে তা লেবাননের বৈরুত কিংবা সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণের থেকে ভয়াবহ হবে। এজন্য কর্তৃপক্ষকে এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে। -দৈনিক সময়ের আলো ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;