‘ডিজইনফেকশন পয়েন্ট’ - স্বস্তি দিচ্ছে ক্রেতাদের

‘ডিজইনফেকশন পয়েন্ট’ - স্বস্তি দিচ্ছে ক্রেতাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

তিনটি ‘ডিজইনফেকশন পয়েন্ট’ বাজারে ঢোকার মুখে পাশাপাশি বসানো হয়েছে । ছোট্ট ফটকটির ভেতর দিয়ে ঢুকলেই জীবাণুনাশক স্প্রে হয়ে যাবে পুরো শরীরে। তার আগে ছোট্ট ট্রেতে ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানিতে জুতোর তলা ভিজিয়ে নিতে হবে। ১২ ফুট লম্বা স্টিল স্ট্রাকচারে ৪ ফুটের ৩টি ডিজইনফেকশন পয়েন্ট। ৪টি প্লাস্টিকের স্বচ্ছ টিনের বেড়া দিয়ে তিনটি কক্ষ করা হয়েছে। ৩ ইঞ্চির স্ট্যান্ডের ওপর পুরো কাঠামো দাঁড় করানো। উপরে ১ ফুট উঁচু ঢেউ খেলানো ছাউনি দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। ৬টি নজল দিয়ে মোটরের সাহায্যে স্প্রে করা হচ্ছে জীবাণুনাশক। একটি ১ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার প্লাস্টিকের কালো ড্রামও রয়েছে এ পয়েন্টের পাশে। প্রতিটি পয়েন্টের সামনে একটি ট্রেতে প্লাস্টিকের মেটের ওপর ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানির ট্রে।

নগরের কোতোয়ালী থানাধীন কাজীর দেউড়ি সিডিএ কাঁচাবাজারে ডিজইনফেকশন পয়েন্ট বসিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। বুধবার সকাল থেকে পয়েন্টটি পুরোদমে চালু করা হয়েছে। এতে স্বস্তি নেমেছে অভিজাত এ বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের মধ্যে।

মেজর মোহাম্মদ আশরাফ পারভেজ জানান, করোনাভাইরাসের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিজস্ব অর্থায়নে তিন ইউনিটের ডিজইনফেকশন পয়েন্ট বসানো হয়েছে কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার, ষোলশহরের ২ নম্বর গেট কর্ণফুলী মার্কেটে। আরেকটি আমরা নগরের কোনো হাসপাতালে বসাতে চাই।

কাজীর দেউড়ি বাজারে মঙ্গলবার আমরা ডিজইনফেকশন পয়েন্ট উদ্বোধন করেছি। এসময় লে. কর্নেল ইকবাল, মেজর রেজওয়ানসহ বাজার কমিটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইনফেকশন সেন্টারের সামনে চেয়ারে বসে হ্যান্ড মাইকে বাজার করতে আসা ক্রেতাদের নিয়মকানুন বলে দিচ্ছিলেন মো. নাজিম উদ্দিন।

তিনি জানান, ড্রামে ১ হাজার লিটার পানিতে সাড়ে ২৭ কেজি উন্নতমানের ডিটারজেন্ট ও আড়াই কেজি লবণ মেশানো হয়েছে। সেই জীবাণুনাশক পানি স্প্রে করা হচ্ছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে। বাজারে ঢোকার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন মেহেদিবাগের বাসিন্দা আকতার হোসেন। তিনি বলেন, এত দিন বাজারে এসে আতঙ্কে থাকতাম। মনে মনে শঙ্কা ছিলো করোনা ভাইরাস নিয়ে বাসায় ফিরছি কিনা। এখন সেই শঙ্কা দূর হলো। কাজের কাজ করেছে সেনাবাহিনী।

বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন বলেন, নগরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় আমাদের ওয়ার্ডে। তাই শুরু থেকেই আমরা জীবাণুনাশক ছিটানোর ব্যাপারে খুবই আন্তরিকভাবে কাজ করছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। অভিজাত কাজীর দেউড়ি বাজারে তিনটি ডিজইনফেকশন পয়েন্ট বসিয়েছে। এতে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে।