জানুয়ারিতেই উদ্ভোধন হতে যাচ্ছে সীতাকুণ্ড টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ

জানুয়ারিতেই উদ্ভোধন হতে যাচ্ছে সীতাকুণ্ড টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ

এম কে মনির,সীতাকুণ্ড, চট্রগ্রাম ।।

সীতাকুণ্ড টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নামে সীতাকুণ্ড উপজেলার একমাত্র কারিগরি শিক্ষা প্রতিস্ঠানটি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসেই উদ্ভোধন হতে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের শেষ দিকে কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের দিক বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণের ঘোষনা দেয়।তারই ধারাবাহিতায় ২০১৭সালে  শুরু হয় সীতাকুণ্ড টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের কাজ।সীতাকুণ্ড উপজেলার সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে হাজারী সড়কের পাশে মোট ১৫.৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১.৫ একর জমির উপর নির্মাণ হচ্ছে সুবিশাল এই কারিগরি শিক্ষা প্রতিস্ঠানটি।দরপত্র অনুযায়ী এই প্রতিস্ঠানের নির্মাণকাল ১৮ মাস ধরা হলেও বর্তমানে ২ বছরের অধিক সময় ব্যয় করেছে সংশ্লিষ্ট  ঠিকাদারি প্রতিস্ঠানটি।তবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর তথ্যমতে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসেই এই কলেজটি উদ্ভোধন করা হবে।উল্লেখ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে নানা প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।বেকারত্ব দূরীকরণ, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ১০০টি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প ঘোষণা করার পরই পুনরায় ৩৮৯ টি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপনের সিদ্বান্ত হয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে(একনেক)।এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৮৮৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।এরপর থেকেই ৩৮৯টি উপজেলায় এ প্রকল্পের কাজ চলছে।কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ৬স্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১টি করে কারিগরি বিষয় অর্ন্তভুক্ত থাকবে।এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু থাকবে।সীতাকুণ্ড উপজেলায় স্থাপিত এই কলেজটি চালু হলে সীতাকুণ্ডের শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষার জন্য শহরমুখী হওয়ার প্রয়োজন হবে না।সীতাকুণ্ডের কলেজটি মনোরম নিরিবিলি গ্রাম্য এলাকায় স্থাপিত হচ্ছে বলে এখানে শিক্ষার কাঙ্খিত পরিবেশ বজায় থাকবে।সীতাকুণ্ডের শিক্ষার্থীরা নিজ এলাকাতেই নিতে পারবে পছন্দের বিষয়ে ডিপ্লোমা।সীতাকুণ্ডের শিল্প কারখানার দক্ষ মানবসম্পদের সংকট পূরণ করার পাশাপাশি এই  শিক্ষা প্রতিস্ঠানটি হওয়ার ফলে সীতাকুণ্ড সমৃদ্ধির পথে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সীতাকুণ্ডের বিশিষ্ট জনেরা।