চসিক নির্বাচনে ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে জমে উঠেছে ঘুড়ি-মিষ্টি কুমড়া ও লাটিমের জমজমাট প্রচারণা

চসিক নির্বাচনে ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে জমে উঠেছে ঘুড়ি-মিষ্টি কুমড়া ও লাটিমের জমজমাট প্রচারণা

নিউজ ডেস্ক ।।

আগামি ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নগরের ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে জমে উঠেছে ঘুড়ি-মিষ্টি কুমড়া ও লাটিমের জমজমাট প্রচারণা।

সকাল থেকে রাত- অবিরাম বাড়ি বাড়ি ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা। আগামি ২৯ মার্চ নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি থেকে মো. রফিক উদ্দিন চৌধুরী (ঘুড়ি)। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু (মিষ্টি কুমড়া)। আর আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়ে না পেলেও স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন যুবলীগ নেতা মনোয়ার উল আলম চৌধুরী নোবেল। নিজের প্রতীক ছাড়াও দলীয় মেয়রপ্রার্থীর নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকেও ভোট চাইছেন প্রার্থীরা। ভোট প্রার্থনার সময় উত্তর কাট্টলীকে সমৃদ্ধ, উন্নত আর পরিবর্তন করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা।

ধানের শীষ ও ঘুড়ি প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির রফিক উদ্দিন চৌধুরী।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঘুড়ি প্রতীকের রফিক উদ্দিন চৌধুরী স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মী, সমর্থক ও স্থানীয় মুরুব্বিদের নিয়ে উত্তর কাট্টলীর নুর মোহাম্মদ বাড়ি, বিশ্বাসপাড়া, চৌধুরীপাড়া, বড় ও ছোট কালিবাড়ি, সেবাখোলা, মাওলানা আমানত উল্লাহ শাহপাড়া, মজুমদার বাড়ি, শাহেরপাড়াসহ বিভিন্ন বাড়ি, সড়ক-উপসড়কে অবস্থিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভোটারদের কাছে ঘুড়ি প্রতীকে ভোট চাইছেন। পাশাপাশি নিজ দলীয় মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাতের হয়ে ধানের শীষেও ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। রফিক উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন, রাতের ভোটচুরি শেষে এবার ডিজিটাল চুরিতেও সীমাবদ্ধ থাকেনি। তারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না আসতে নানান হুমকি-ধমকি দিয়ে উৎসবের ভোটকেন্দ্রকে ফাঁকা রাখার কৌশল নিয়েছে। এতে সরকারের মতো মেয়র-কাউন্সিলর পদগুলোও তারা বিনা ভোটে নিতে চায়। ঢাকায় আমরা এর নমুনা দেখেছি। চট্টগ্রামে এই পরিবেশ সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। ভোটারদের কাছে অনুরোধ আপনারা ভোট কেন্দ্রে আসুন, নিজের ভোটটি নিজে দিন। দিতে না দিলে প্রতিবাদ করুন। এই ওয়ার্ডে যিনি কাউন্সিলর তাকে দু’বার দেখেছেন। এবার আমাকে সুযোগ দিন। আমরা উন্নত কাট্টলী উপহার দেবো।

নৌকা ও মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে প্রচারণায় আ’লীগের নিছার উদ্দিন আহমেদ।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে ভোট চেয়ে উত্তর কাট্টলীর উত্তর আগ্রাপাড়া, দক্ষিণ আগ্রাপাড়া, মজুমদার বাড়ি, আশ্রাফ আলী চৌধুরী বাড়ি, হাজ্বী সিরাজ উদ্দীন বাড়ি, নতুনপাড়া আ/এ, হরিমোহন দাশ বাড়ি’র প্রতিটি ঘরে গিয়ে মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন।

আগামী ২৯শে মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মিষ্টি কুমড়া প্রতীক ও রেজাউল করিম চৌধুরীকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে আহ্বান জানাচ্ছেন। ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু বলেন, বিগত ১০ বছর কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডসহ গণমানুষের যে কোনো সমস্যার সমাধানে পাশে ছিলাম। ইনশাআল্লাহ আগামিতেও আপনাদের দোয়া ও সমর্থন নিয়ে আবারও নির্বাচিত হয়ে গণমানুষের কল্যাণে উত্তর কাট্টলীকে মাদক মুক্ত, পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য শহরের আদলে গড়ে তুলবো।

নৌকা ও লাটিম প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রচারণায় মনোয়ার উল আলম চৌধুরী নোবেল।

এবার লাটিম প্রতীকে কাউন্সিলর নির্বাচন করছেন অন্যপ্রার্থীদের তুলনায় তরুণ যুবনেতা মনোয়ার উল আলম চৌধুরী নোবেল। দলীয় সমর্থন না পেলেও তৃণমূল নেতা-কর্মী ও উত্তর কাট্টলীর মুরুব্বিদের অনুপ্রেরণায় নির্বাচন করছেন জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের প্রতিটি মানুষ। আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিকে নির্মূলের আন্দোলন চালাচ্ছেন। আমিও আমার ওয়ার্ড আমার জন্মস্থান উত্তর কাট্টলীকে দুর্নীতিমুক্ত পেশিশক্তির মুখোশধারীদের তীর্থস্থান মুক্ত করবো। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতী লীগসহ আমার দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আমার পাশে রয়েছেন। ইনশাআল্লাহ আমাদের প্রার্থী রেজাউল করিম ভাই নৌকা প্রতীকে এবং আমি লাটিম প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে স্বপ্নের উত্তর কাট্টলী গড়ে তুলবো। এলাকার তরুণ-যুবসমাজকে কারিগরি শিক্ষায় সম্পৃক্ত করবো। মনোয়ার উল আলম চৌধুরী নোবেলও উত্তর কাট্টলীর আগ্রাপাড়া, নতুনপাড়া, মুন্সিপাড়া, মোস্তফা-হাকিম কলেজ রোড, কর্ণেলহাট, অলংকার, সাগরিকা, দুলালাবাদ (একাংশ), বিশ্বাসপাড়া, বড় ও ছোট কালী বাড়ি, সেবাখোলা, বাংলা বাজার, ঈশান মহাজন সড়ক, বিশ্বাসপাড়া, চৌধুরী পাড়াসহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাটিম প্রতীকে ভোট চাইছেন।