চলাচলে অনুপযোগী সীতাকুন্ডের লতিফপুর সোনাইছড়ি সড়ক

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

চলাচলে অনুপযোগী সীতাকুন্ডের লতিফপুর সোনাইছড়ি সড়ক
চলাচলে অনুপযোগী সীতাকুন্ডের লতিফপুর সোনাইছড়ি সড়ক

সীতাকুন্ড সলিমপুরের লতিফপুর সোনাইছড়ি সড়কটি সর্বত্র কাদা মাটিতে একাকার হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । দীর্ঘদিন সংস্কার বিহীন এ সড়কের বেহাল দশায় চলাচলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন এলাকাবাসী। রাস্তাাটির কিছু অংশে ইট থাকলেও প্রবল বর্ষণে ইট সরে গিয়ে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে সড়কটি। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি পুরোপুরি নষ্ট হওয়ায় চলাচলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
জানা যায়, প্রায় ৩ হাজারের অধিক জনসংখ্যা বেষ্টিত লতিফপুর সোনাইছড়ি এলাকার চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ গ্রামীন সড়কটি। এখানে বসবাসরত লোকজনকে যাতায়াতের পাশাপাশি কৃষি কাজের পন্য আনা নেয়ার সড়কটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে হয়।
এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার বিহীন থাকায় সর্বত্র খানাখন্দ সৃষ্টির মাধ্যমে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বিপর্যস্ত এ সড়কটি সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বরাদ্দের অজুহাত দেখিয়ে ঝুকিঁপূর্ণ এ সড়কটি পুণরায় মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন না করে নিশ্চুপ রয়েছেন।
সরেজমিনে রাস্তাটি ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার বিহীন থাকা এ সড়কের ইট সরে গিয়ে অনেকটা কাঁচা রাস্তায় পরিনত হয়েছে। টানা বর্ষণে পুরো সড়কটি কর্দমাক্ত হওয়ার পাশাপাশি পানিতে থৈ থৈ করে । রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনের সঠিক কোন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
লতিফপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু সড়কটির এমন নাজুক অবস্থার কারনে চলাচলে দূর্ঘটনাসহ চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। প্রায় ৫০০ গজ কাচাঁ সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট খানাখন্দে জমে থাকা পানিতে জামা কাপড়ে ময়লা হয়ে অনেককে মাঝপথে বাড়িতে ফিরতে হয়। বর্তমানে নাজুক এ সড়কের দ্রুত মেরামতের পদক্ষেপ গ্রহন করার অনুরোধ করেন তিনি ।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার নাজিম উদ্দীন লোকজনের ভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করে জানান, সড়কটির সংস্কারের মাধ্যমে এলাকাবাসী দুর্ভোগ লাঘবে করনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেছি। এ ব্যাপারে বরাদ্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বরাদ্দ পেলে সহসাই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী জাহাংগীর আলম জানান , সড়কটি টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়েছে , যত শিগ্রী সম্ভব এটার কাজ শুরু হবে । তবে এর আগেও একবার ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কাজ না করে চলে যায় ।