চট্টগ্রামের সেই বৃদ্ধের ছেলেও করোনায় আক্রান্ত, বাস্কেটের ১৮ কর্মী কোয়ারেন্টিনে, নমুনা পরীক্ষা করা হবে

চট্টগ্রামের সেই বৃদ্ধের ছেলেও করোনায় আক্রান্ত, বাস্কেটের ১৮ কর্মী কোয়ারেন্টিনে, নমুনা পরীক্ষা করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন প্রথম আক্রান্ত হওয়া সেই ৬৭ বছরের বৃদ্ধের ছেলে। এ নিয়ে নগরীতে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো দুইজনে।

আজ রবিবার (৫ এপ্রিল) ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকসাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) নমুনা পরীক্ষায় এই ফলাফল পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিবারও রক্ষা পেলনা  । এবার আক্রান্ত হওয়া ওই বৃদ্ধের ছেলের শরীরে পাওয়া গেছে প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ ভাইরাসের অস্তিত্ব। গত শনিবার আক্রান্ত হওয়ার পর ওই পরিবারের চারসদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। রবিবার সন্ধ্যায় আসা তাদের রিপোর্টে একজনের পজেটিভ আসে। যিনি আক্রান্ত হওয়া ওই ব্যক্তির ছেলে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক নগরীর খুলশী এলাকার বাস্কেট সুপার সপে কর্মরত। তিনি তার পিতার সংস্পর্শে ছিলেন। এমনকি চিকিৎসা নিতে পিতা-পুত্র বেসরকারি ন্যাশনাল ও পার্কভিউ হাসপাতালেও গিয়েছেন। যদিও ইতোমধ্যে ন্যাশনাল হাসপাতালের সেবা প্রদান করা চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘নগরীর দামপাড়ার বাসিন্দা ৬৭ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধ আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের পরিবারের চার সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব নমুনা ফৌজদারহাটের বিশেষায়িত হাসপাতাল ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তিনজনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও ওই যুবকের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। রিপোর্ট আসার পর আক্রান্ত যুবককে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলিশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে’।

বাস্কেটের ১৮ কর্মী কোয়ারেন্টিনে : নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ওই যুবক কর্মরত থাকা খুলশীর সুপারসপ বাস্কেটের ১৮ কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। একই সাথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া এই ১৮ কর্মীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এমনকি প্রয়োজন হলে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়েছে। তাদের আপাতত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। যেহেতু আক্রান্ত হওয়া যুবক এসব কর্মীর সংস্পর্শে ছিল, তাই তাদের নমুনা সংগ্রহও করা হবে। এছাড়া প্রয়োজন হলে তাদের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ছাত্রী হোস্টেলে গঠিত প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে’।

২৩ জনের নমুনা সংগ্রহ : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৩ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে। তবে তাদের মধ্যে একজনের মধ্যে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও বাকিদের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নতুন ২৩জনসহ এখন পর্যন্ত ১৪৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যাদের মধ্যে দুই জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়। বাকিরা এতে আক্রান্ত নয়’।