চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা – বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা – বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ

নিউজ ডেস্ক।।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে দল যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বা দেবে সে সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে। সিদ্ধান্ত না মানলে দল চুপ করে বসে থাকবে না। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

রোববার (৮ মার্চ) বিকেলে নগরের কে সি দে রোডস্থ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

তবে এমন আহ্বানের মাঝেও প্রয়োজন হলে প্রার্থী পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত দেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রার্থিতায় পরিবর্তন, পরিবর্ধনের বিষয় থাকলে প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন দলের অন্যান্য নেতাদের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কাউন্সিলর মনোনয়নের ক্ষেত্রে দল যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বা দেবে সেটা সবাইকে মানতে হবে। দল করলে দলের সিদ্ধান্ত অবশ্যই মানতে হয়। দলের বাইরে যাবার কোনো সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কাউন্সিলর প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখতে চাই – আপনারা যখন প্রচারণায় নামবেন তখন সবার আগে মেয়র প্রার্থীর জন্য ভোট চাইবেন, তারপর নিজের চাইবেন নিজের জন্য। এটি হলে পরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া সহজ হবে এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে একটা অবিস্মরণীয় বিজয় উপহার দেওয়ার সম্ভব হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হলে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার শক্তি কারো নেই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, কাজেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত। তবে গতানুগতিক বিজয় নয়, বড় ব্যবধানে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করে নেত্রীর কাছে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করতে হবে। আর সেটি করতে পারলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চট্টগ্রামের দাবি-দাওয়া নিয়ে আমরা কথা বলতে পারবো। যোগ করে হাছান মাহমুদ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারররফ হোসেন এমপি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) আহমেদ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, উত্তর জেলা সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সহ সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।