চট্টগ্রামে ভোটার তালিকা হালনাগাদ , নিবন্ধিত ভোটার ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬১

চট্টগ্রামে ভোটার তালিকা হালনাগাদ  , নিবন্ধিত ভোটার ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬১
চট্টগ্রামে হালনাগাদ ভোটার তালিকা , নিবন্ধিত ভোটার ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬১

রাহুল দাশ নয়ন ।।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে ১৫ উপজেলা ও ছয় থানায় তথ্য সংগ্রহ করা তিন লাখ ৯৬ হাজার ৬৬১ ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৩১ হাজার ৩৯৯ জন ও মহিলা ভোটার এক লাখ ৬৫ হাজার ২৬২ জন।

গত ২৩ এপ্রিল থেকে কয়েক ধাপে শুরু হওয়া ভোটারের তথ্য সংগ্রহ শেষ হয় ২২ অক্টোবর। পরে তথ্য সংগৃহীত ভোটারদের নিবন্ধন ১৬ মে থেকে শুরু হয়ে ১৮ নভেম্বর শেষ হয়। নির্বাচন অফিসের কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন টিম এ নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন। এবার ফটিকছড়িতে সর্বোচ্চ ৩২ হাজার ৫২১ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।

চট্টগ্রামে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, দীর্ঘ সাত মাস নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ শেষে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

এবার ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যাদের জন্ম তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরে তথ্য সংগৃহীত ভোটারদের নিবন্ধন করা হয়। আগামী ২ জানুয়ারি হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ৩১ জানুয়ারি।

নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, মিরসরাইয়ে ২৫ হাজার ৭৪৬ জন, সীতাকুন্ডে ১৫ হাজার সাতজন, লোহাগাড়ায় ১১ হাজার ৯৬৭ জন, চন্দনাইশে ১১ হাজার ৮৫০ জন, আনোয়ারায় দশ হাজার ১২৬ জন, কর্ণফুলীতে পাঁচ হাজার ৯৯১ জন, ফটিকছড়িতে ৩২ হাজার ৫২১ জন, রাউজানে ১৯ হাজার ৫৪ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১৪ হাজার ৩৬৯ জন, বাঁশখালীতে ২৪ হাজার ৪৩৪ জন, পটিয়ায় ২৪ হাজার ৭৫০ জন, সাতকানিয়ায় ২৫ হাজার ১৭৯ জন, বোয়ালখালীতে ১৩ হাজার ৮০৬ জন, সন্দ্বীপে ১৯ হাজার ১৫৭ জন, হাটহাজারীতে ২৮ হাজার ৫৮৬ জন, নগরীর ডবলমুরিং থানায় ২০ হাজার ৮৫৭ জন, পাঁচলাইশে ২০ হাজার ১৬৬ জন, বন্দরে ২৭ হাজার ২২৪ জন, পাহাড়তলীতে ১৫ হাজার ৬৮০ জন, কোতোয়ালীতে ১২ হাজার ১৮৭ জন ও চান্দগাঁওয়ে ১৮ হাজার চারজন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। চট্টগ্রামে মোট বিদ্যমান ভোটার সংখ্যা ৫৬ লাখ ৩৮ হাজার ১১৫ জন।

ইসি সূত্র জানায়, যাদের বয়স ১৬ বছর হয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করেন তথ্য সংগ্রহকারীরা। আর যাদের বয়স ১৮ বছর হয়েছে, তারাও ভোটার হতে নিবন্ধণ করেন। অর্থাৎ ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যাদের জন্ম তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োজিত তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাংলাদেশি প্রকৃত নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করেন। তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষে প্রতি ওয়ার্ডের নিবন্ধন কেন্দ্রে চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও দশ আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়।

এদিকে ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী কম্পিউটার ডেটাবেইজে সংরক্ষিত বিদ্যমান সকল ভোটার তালিকা প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে হালনাগাদ করা হবে।

চলতি বছর ১ মার্চ ‘ভোটার দিবস’ উদযাপন করে ইসি। এবার দিবসটিকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের দিন ধরে ১৫ জানুয়ারিতে খসড়া তালিকা প্রকাশের প্রস্তাবনা দেয় ইসি। তালিকা প্রকাশের নির্ধারিত সূচি তুলে দিয়ে তারিখ নির্ধারণের ক্ষমতা কমিশনের কাছে রাখতে আইন সংশোধনের প্রস্তাব করে বিশেষজ্ঞ কমিটি। প্রস্তাবনায় বলা হয়- ১৫ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ, ১৬ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি দাবি, ১ ফেব্রূয়ারি থেকে ৭ ফেব্রূয়ারি দাবি নিষ্পত্তি, ৮ ফেব্রূয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রূয়ারি সিডি প্রস্তুত এবং ১ মার্চ ভোটার দিবসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের সময়সূচি রেখে বিধি সংশোধন।