চট্টগ্রামে চলছে ২ ওষুধে ভর করে করোনা রোগীর চিকিৎসা

চট্টগ্রামে চলছে ২ ওষুধে ভর করে করোনা রোগীর চিকিৎসা
করোনায় আক্রান্ত রোগী (প্রতীকী ছবি)

আবু রায়হান তানিন ।।

চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছেন মোট ২৪ জন করোনা পজিটিভ রোগী। এখানে রোগীদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ থাকলেও বিভিন্ন সূত্রে নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগও মিলছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান মিলবে।

করোনা পজিটিভ হয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা রোগীদের কেমন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জেনারেল হাসপাতালে? এই প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালটির সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব বলেন, প্রতিদিন রোগীদের টেম্পারেচার ও অক্সিজেন প্রিসিশন চেক করা হয়। জ্বর আসলে নাপা দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য রোগ থাকলে সেসব রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে করোনার ‘চিকিৎসা’ হিসেবে এজিথ্রোমাইসিন ও হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ওষুধ দুটি দেওয়া হয় প্রতিটি রোগীকে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের প্রথম দিনে ৫০০ মিলিগ্রাম এজিথ্রোমাইসিন দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় দিন থেকে পঞ্চম দিন পর্যন্ত দেওয়া হয় ২৫০ মিলিগ্রাম করে।

অন্যদিকে প্রথম দিনে একজন রোগীকে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন দেওয়া হয় ৮০০ মিলিগ্রাম। এটি দেওয়া হয় সকাল-রাত দুই ভাগ করে। অর্থাৎ সকালে দেওয়া হয় ৪০০ মিলিগ্রাম আর রাতে দেওয়া হয় ৪০০ মিলিগ্রাম। দ্বিতীয় দিন থেকে পরের ৯ দিন দেওয়া হয় ৬০০ মিলিগ্রাম করে।

জানা গেছে, হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ট্যাবলেটটি মূলত ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে অ্যাজিথ্রোমাইসিন অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী। ফুসফুস, ত্বক, কান ও যৌনঘটিত রোগের সংক্রমণে ওষুধটি বহুল ব্যবহৃত।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না দিলেও আপাতত এই দুটি ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে ওষুধ দুটি করোনা রোগীর সুস্থতায় আদৌ কাজে আসছে কিনা এ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। এই দুই ওষুধেরই আবার ব্যথা, অ্যালার্জি, ডায়রিয়াসহ নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বিশেষ করে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইনের প্রয়োগ সব শরীরের জন্য প্রযোজ্য নয়।