চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা হবে এপিক ল্যাবে, ১৫ জুলাই কার্যক্রম শুরু

চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা হবে এপিক ল্যাবে, ১৫ জুলাই কার্যক্রম শুরু
চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা হবে এপিক ল্যাবে, ১৫ জুলাই কার্যক্রম শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বেসরকারি পর্যায়ে তৃতীয় ল্যাব হিসেবে করোনার নমুনা পরীক্ষায় যুক্ত হতে যাচ্ছে বিশ্বমানের এপিক হেলথ কেয়ার। ১৫ জুলাই (বুধবার) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন এপিক হেলথ কেয়ার লিমিটেড এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এস এম লোকমান কবির। 

ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও শেভরণ-এর পর এপিক নমুনা পরীক্ষার অনুমতি পেল। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রীমা কনভেনশন সেন্টারে নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং আন্দরকিল্লা শাখায় করা হবে পরীক্ষা। নমুনা দেয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট দিবে ল্যাবটি।

এপিক হেলথ কেয়ার লিমিটেড এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এস এম লোকমান কবির জানান, নিছক ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয় বরং স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মানের ‘বিশ্বমান’ বলতে যা বুঝায় তার বাস্তবায়ন করতেই ‘এপিক গ্রুপ’ ‘এপিক হেলথ কেয়ার’ প্রতিষ্ঠা করেছে।

এপিক হেলথ কেয়ারের নির্বাহী পরিচালক টি এম হান্নান জানান, মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বৃহৎ স্পেস নেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বিবেচনা করেই প্রতি ছয় ফুট ব্যবধানে একেকটি চেয়ার রাখা হবে। নমুনা দিতে আসা মানুষ যাতে দুর্ভোগের স্বীকার না হন সেজন্য এখন থেকে প্র্যাকটিস চলছে রিমা কনভেনশন সেন্টারে।

নমুনা দেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার পর কখন তিনি নমুনা দিতে আসবেন তা জানিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া কেউ যদি সরাসরি স্পটে চলে আসে তাহলেও আমরা নমুনা সংগ্রহ করব।

তাছাড়া, সরকারের নির্ধারিত ফি সাড়ে তিন হাজার টাকা এবং বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলে সেক্ষেত্রে পরিশোধ করতে হবে সাড়ে চার হাজার টাকা। প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ১৯০টি নমুনা নেয়া হবে।  তবে এপিকের প্রতিদিন ৫০০ নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে বলে জানান হেলথ কেয়ারের নির্বাহী পরিচালক।

উল্লেখ্য, বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিজ শহরে এমন শ্লোগানে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এপিক হেলথ কেয়ারে কোভিড নমুনা পরীক্ষায় যে আরটি পিসিআর মেশিন ব্যবহার করা হবে তা আমেরিকার তৈরি বলে জানা গেছে। কিট ব্যবহার করা হবে ইউরোপিয়ান। এতে শতভাগ নির্ভুল তথ্য পাওয়া যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।