কোনো সমস্যা নেই কিট নিয়ে : আইইডিসিআর

কোনো সমস্যা নেই কিট নিয়ে : আইইডিসিআর
কোনো সমস্যা নেই কিট নিয়ে : আইইডিসিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

করোনাভাইরাসের আঘাতে জর্জরিত বিশ্ব । মৃত্যুর মিছিল থামছে না। করোনা সংক্রমণরোধে সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা পর্যায়ে কমিটি, উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করা রয়েছে। বর্তমানে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কমিটিগুলো পর্যবেক্ষণ করছে কোয়ারেন্টাইন থাকা লোকগুলো কীভাবে, কী পর্যায়ে রয়েছে।

জাতীয় কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ক্যাবিনেট সেক্রেটারি। এছাড়া বিদেশি এজেন্সিগুলো এবং সব মিলে ৩১ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ মার্চ) বিকেলে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, নতুন করে ১০০ আইসিইউ বেড নিয়ে আসা হয়েছে। আরও ৩৫০টি আইসিইউ বেড আনা হচ্ছে। প্রতিটি জেলা শহর হাসপাতালগুলোতে ১০০ বেড করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকায় আগে থেকে ৬টি হাসপাতালে ছিল। সেখানে আরও হাসপাতাল যুক্ত হয়ে গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটসহ সব মিলে ২ হাজার বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নতুন করে আরও যদি দরকার হয় তাহলে ইজেতমা ময়দান প্রস্তুত রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দিয়াবাড়িতে যে বিল্ডিংগুলো রয়েছে সেগুলো প্রস্তুত রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ফ্লোরা জানান, হাসপাতালগুলো যদি করোনা রোগী যদি বেশি হয় যায়, তাহলে সব দিক দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কেন্দ্রিক প্রস্তুতি রয়েছে। এর পাশাপাশি পিপিই নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত রয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বলার চেষ্টা করছেন। আমাদের হাতে দুই লাখের মতো কিট রয়েছে। আমাদের প্রতিদিনই আসছে ডাক্তারদের গাউন পিপি। কিট নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অনেক বড় বড় দেশগুলো আক্রান্ত হয়েছে, অনেকে মারা গেছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে আক্রান্তের সংখ্যা মৃতের সংখ্যা চেয়ে অনেক কম। আমাদের যে উদ্যোগগুলোর নেয়ার সেগুলো যদি আমরা ঠিকমত পালন করি তাহলে ইনশাআল্লাহ দেশে এটি খুব বেশি বড় প্রভাব ফেলতে পারবে না। এক্ষেত্রে সবাইকে নিজ নিজ থেকে উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা রয়েছে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে ফ্লোরা বলেন, আমরা প্রথম থেকেই কক্সবাজারে যাতে কোনভাবে জনসমাগম না হয় সেজন্য সেখানকার পর্যটন ব্যবস্থা বা ওইখানে যাতে কেউ ভ্রমণে না জান সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

এছাড়া কক্সবাজারে আইইডিসিআরের ল্যাব প্রতিষ্ঠা রয়েছে। সেই ল্যাবটিও আমরা প্রস্তুত রেখেছি। কক্সবাজারে কোনোভাবে রোগী হয় সেক্ষেত্রে আমরা সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারব।