কেন ও কীভাবে খাবেন ইসবগুলের ভুসি ?

কেন ও কীভাবে খাবেন ইসবগুলের ভুসি ?

আমরা অনেকেই জানি ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ক্ষেত্রে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে হয়। আসলে কি তাই? এটির ব্যবহার কি শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় ? হালকা ধরনের কোষ্ঠকাঠিন্যে পানি, সবজি ও ফল খেলে ভালো হয়ে যায়। ইসবগুলের ভুসি খেলে মলের পরিমাণ বাড়ে মলের মধ্যে পানির ধারণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। কীভাবে খাবেন? চিনি দিয়ে নাকি চিনি ছাড়া? ১-২ চা চামচ ২৫০ বা ১ গ্লাস পানি দিয়ে মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন। পানির সঙ্গে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খাবেন যাতে শরীরের ভেতরে ঢুকে এটি ফোলে। চিনি মেশানোর দরকার নেই।

প্রোবায়োটিক হিসেবেও এটির ব্যবহার আছে। ২ চা চামচ ভুসি ১৫ মিলি লিটার টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাবারের পরে খাবেন। এরপর ১ গ্লাস পানি খেয়ে নেবেন। ডায়রিয়াজনিত রোগে এটি প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।

ইরিটেবল বা ভয়েল সিনড্রম বা আইবিএসে যেখানে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রাধান্য পায় সেখানেও ইসবগুলের ভুসি খাওয়া যায়। হেমোরেয়ডম, এনাল ফিসার বা পাইলেস বা অর্শ্ব রোগের ব্যথা কমাতে এটি সাহায্য করে। রিফ্লাক্স রোগ বা খাদ্যনালির প্রদাহ কমাতে এটি ব্যবহৃত হয়। ২ চা চামচ ইসবগুল ১ গ্লাস ঠান্ডা পানির সঙ্গে খেতে পারেন। খাওয়ার পর পেট বুক জ্বালাপোড়া করা ও পেটে গ্যাস হওয়া রিফ্লাক্স রোগের উপসর্গ। খাবার পরে পাকস্থলীর গায়ে এটি আবরণ সৃষ্টি করে। ফলে স্বল্প বা অ্যাসিড থেকে শরীরে ক্ষতি কম হয়। এই আবরণের ফলে শর্করা জাতীয় খাবার কম শোষিত হয়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এটি পরোক্ষভাবে উপকার করে। ২ চা চামচ ইসবগুল ২৫০ মিলি কুসুম গরম পানির সঙ্গে ১-২ চা চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে সকালে নাস্তার আগে খেলে শরীরের ওজন কমে যায়।

সারা বছর ধরে খেলে ডায়রিয়াও হতে পারে একটানা ৭-১০ দিনের বেশি খাওয়া উচিত নয়।


লেখক : হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক, মর্ডান হারবাল গ্রুপ। মোবাইল-০১৯১১৩৮৬৬১৭