কি ছিল ফেসবুক পোস্টগুলোতে, যা কাল হল আজগর আলী বাবুলের!

কি ছিল ফেসবুক পোস্টগুলোতে, যা কাল হল আজগর আলী বাবুলের!

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

কি ছিল ফেসবুক পোস্টগুলোতে, যা সেদিন কাল হল আজগর আলী বাবুলের! 'একবার বলেছি আমাকে ঘুম থেকে জাগিওনা। আমি জাগলে কী হবে তোমরা ভালভাবে জানো। এখনো বলছি যদি ভাল চাও নেত্রীর কথা শুনে নেমে পড়ো। কে এই মাছ কাদের তার অতীত জানুন। সে কোন কলেজে পড়েছে। তা জানতে চান।’- ফেসবুকে এ ধরনের বেশকিছু পোস্ট দেয়ার একদিনের মাথায় নিজেই চিরতরে ঘুমিয়ে গেছেন ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের অনুসারী আজগর আলী বাবুল।

১১ জানুয়ারি তার ফেসবুক আইডিতে দুই ঘণ্টায় নয়টি পোস্ট করেছেন বাবুল। সবগুলো পোস্ট কাদের ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে ইঙ্গিত করেই করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই পোস্টগুলোই বাবুলের জন্য কাল হয়েছে।

কি ছিল নয় পোস্টে :

‘বাবুল আলি বাবুল’ নামে আজগর আলি বাবুলের ফেসবুক আইডিতে দেখা যায়, ১১ জানুয়ারি বাবুল নিজেই ফেসবুকে নয়টি পোস্ট করেন।

এরমধ্যে ১২টা ৩৮ মিনিটে প্রথম পোস্টটিতে লিখেন- আমি আওয়ামী লীগ করি বলে আমাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমি নেত্রীর জন্য জীবন দিতে প্রস্তুুত।

২. বেলা বারোটা ৪১ মিনিটে অপর এক পোস্টে লিখেন ‘কে এই মাছ কাদের। তার অতীত জানুন। সে কোন কলেজে পড়েছে, তা জনগণ জানতে চায়।’

৩. বেলা পৌনে একটায় আরেকটি পোস্টে লিখেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরে ইয়াবা দিদু আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে ইয়াবা বিক্রি করছে। একে আইনের আওতায় আনা হোক।’

৪. বেলা ১টা ১৪ মিনিটের পোস্টে দেখা যায়, ‘দুদক ও প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। এই ইয়াবা দিদু ও মাছ কাদেরের আয়ের উৎস জানুন। এতো অর্থের মলিক কেমন করে হলো।’

৫. একই দিন ১টা ৩৪ মিনিটে পোস্ট দিয়েছে, ‘একবার ই বলেছি- আমাকে ঘুম থেকে জাগিও না। আমি জাগলে কি হবে? তোমরা ভালোভাবে জানো। এখনো বলছি নেত্রীর কথা শুনে নেমে পড়ো। যদি ভাল চাও।’

এই ধরণের আক্রমণাত্মক ও ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টগুলোর কারণে আজগর আলী বাবুলের উপর কেউ ক্ষিপ্ত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনের উপকমিশনার মনজুর মোরশেদ জানান, আজগর আলী বাবুল হত্যার ঘটনায় গতকাল বুধবার রাত সাড়ে তিনটায় নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে তার ছেলে সেজান মাহমুদ। মামলায় ১৩ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পরিদর্শক শাহাদাত হোসনে খানকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার মোগলটুলি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশের বাড়তি টহল বাড়ানো হয়েছে ।