বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এখন উপযুক্ত সময় - প্রধানমন্ত্রী

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য  এখন উপযুক্ত সময়  - প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম আয়োজিত ইন্ডিয়া ইকনোমিক সামিটে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ব এশিয়া, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমে চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যবর্তী হওয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এবং ভারতের ব্যবসার অন্যতম ক্ষেত্র হতে পারে।

‘আমরা এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক হাব হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারি। আমাদের নিজস্ব ১৬ কোটি জনগণ ছাড়াও প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের একটি বিশাল বাজারের যোগাযোগের পথ হতে পারে বাংলাদেশ।’

সামাজিক মূল্যবোধ এবং জনগণের আস্থাই বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল শক্তি বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, একইসঙ্গে আমাদের নেতৃত্বের অন্যতম শক্তি হচ্ছে উন্নয়নের প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষা, তাদের লড়াকু মানসিকতা এবং আত্মবিশ্বাস।’

বাংলাদেশে দ্রুত নগরায়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের দেশের জনসংখ্যার ৪৮ শতাংশই হবে শহুরে। যাদের অধিকাংশই হবে তরুণ, পরিশ্রমী এবং ডিজিটাল ব্যবস্থায় যুক্ত।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে বাংলাদেশের ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের আওতায় এসেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৪১ শতাংশ মানুষ মোবাইল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক দেশের মতো আমাদেরও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে কিন্তু আমরা জানি কিভাবে চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে পরিণত করতে হয়। এ বছর আমরা রেকর্ড ৮ দশমিক এক শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। আমরা দুই সংখ্যার কাছাকাছি রয়েছি।

তিনি বলেন, কৃষি স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি আমরা এখন ধান উৎপাদনে বিশ্বের চতুর্থ, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, আম উৎপাদনে চতুর্থ, সবজি উৎপাদনে পঞ্চম এবং মৎস্য উৎপাদনে চতুর্থ। বিভিন্ন শস্য ও ফলের জীবনরহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে এ খাতে আমরা আরও এগিয়ে যাচ্ছি।

এর আগে দুপুরে ৪ দিনের সফরে তিনি দিল্লি পৌঁছেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।

স্থানীয় সময় বেলা ২টায় সম্মেলনে দিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে সম্মেলনের ‘বাংলাদেশ নিয়ে কৌশলগত সংলাপ’ শীর্ষক সেশনে অংশ নেন তিনি।

এই সফরে, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর, দুই দেশের মধ্যে অন্তত ১০টি চুক্তি-সমঝোতা সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।