ইসলামিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

ইসলামিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
ইসলামিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় আবু ধাবির হোটেল শাংরি লায় মধ্যপ্রাচ্যের নয়টি দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের তিনি এ নির্দেশনা দেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, অনেক সময় বন্ধুপ্রতীম দেশের সঙ্গেও ভুল বোঝাবুঝি হয়। সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে নিতে রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন আমরা শান্তি চাই। আমরা শান্তিতে বাস করতে চাই। যারা অস্ত্র বানায়, তারা অস্ত্র বিক্রির একটা বাজার তৈরি করে। দেখা যাচ্ছে যে মুসলিম দেশের জনগণই তার শিকার হয়। মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বন্দর, জাহাজ নির্মাণ এবং আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে দুবাই ভিত্তিক কোম্পানী ডিপি ওয়ার্ল্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ডিপি ওয়ার্ল্ডসহ ইউএই’র কোম্পানিগুলোর একটি প্রতিনিধিদল শাংগ্রি-লা হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি বলেন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের পাশাপাশি বন্দর, জাহাজ নির্মাণ ও আইসিটি খাতে আমরা আপনাদের ব্যাপক বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছি।

তিনি বলেন, ডিপি ওয়ার্ল্ডের পৃথক প্রতিনিধিদল যার নেতৃত্বে ছিলেন চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম, আমিরাত জাতীয় তেল কোম্পানী’র (ইএনওসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ হুমাইদ আল ফালাসি এবং দ্বুাই শাসক পরিবারের সদস্য শেখ আহমেদ ডালমুখ আল মকতুম এমএকে পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও রপ্তানি কীভাবে বাড়ানো যায় এবং কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা কেমন, সেসব বিষয়ে কাজ করতে রাষ্ট্রদূতদের বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন বলেই বাঙালি জাতি আত্মপরিচয় পেয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী। আগে অনেক কসরত করে দাতাদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হতো। আমরা এখন সেই অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমরা এখন কাউকে দাতা বলি না। তারা এখন বলি উন্নয়ন সহযোগী।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের বিমান বহরে নতুন এয়ারক্রাফট সংযোজন করেছি। এক্ষেত্রে প্রবাসীদের অবদান রয়েছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে যারা কাজ করে তাদের। মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমাদের সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে।

তিনি বলেন, দালালদের বিষয়ে সতর্ক করতে গ্রামে গ্রামে প্রচারণা চালাতে হবে। কেউ যেন দেশের বাইরে যেতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি কাউকে না দেয়, সেদিকে সবার নজর দিতে হবে।

সম্মেলনে অংশ নেয়া রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে ছিলেন- সৌদি আরবের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) কে এম মমিনুর রহমান, ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার, ইরাকে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ এম এম ফরহাদ, কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম, লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার, ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার ও কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ।