ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিরুদ্ধে ক্লাস শুরু না হওয়ার আগে মাসিক টিউশন ফি আদায়ের অভিযোগ

ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিরুদ্ধে ক্লাস শুরু না হওয়ার আগে মাসিক টিউশন ফি আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিরুদ্ধে ক্লাস শুরু না হওয়ার আগেই মাসিক টিউশন ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতমাসে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জুলাই মাসের টিউশন ফিসহ আদায় করা হয়। আর এখন আগস্ট-অক্টোবর মাসের টিউশন ফি আদায়ের জন্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মোবাইলে এসএমএস প্রদান ও তাগাদা প্রদান করা হচ্ছে। টিউশন ফি আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক জিইসি শাখায় জমা দিয়ে শ্রেণীশিক্ষক ও অফিসে অবহিত করার জন্য বলা হচ্ছে।

করোনাকালে সরকার যেখানে এইচএসসি পরীক্ষা নিচ্ছে না। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে অভিভাবকরা আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। সেখানে ভর্তির পরের মাসেই মাসিক ফিস আদায়ে তোড় জোরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।

গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস প্রমুখ করোনা মহামারীকালে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে টিউশন ফি আদায়ের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এসমস্ত ফি অর্ধেক মওকুফ ও বাকি ফি কিস্তিতে আদায়ের দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় অভিভাবকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি অর্ধেক মওকুফের দাবি জানিয়ে আসছে। সেখানে সদ্য ভর্তি হওয়া উচ্চ মাধ্যমিকের শির্ক্ষার্থীদের এভাবে টিউশন ফি আদায়ের জন্য চাপ দেয়া কতটুকু সমীচিন তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা দরকার। আর অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়সহ নানা বিষয়ে ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও অভিযোগ ছিলো। প্রতিষ্ঠানটি একটি বৃহৎ শিল্পগ্রুপের সিএসআর খাতে দ্বারা পরিচালিত বলে দাবি করলেও মুলত এটি তাদের আরও একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনেক নির্দেশনা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে এগুলোর কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে তা কোনোভাবেই মনিটর করা হচ্ছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অভিভাবকদের কতটুকু সম্পৃক্ত করা হচ্ছে তা এখনও প্রশ্নসাপেক্ষ?