আরব আমিরাতের আজ ৪৮তম জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস

আরব আমিরাতের আজ ৪৮তম জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস
আরব আমিরাতের আজ ৪৮তম জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস

মোহাম্মদ শাহজাহান, পোস্টকার্ড (আমিরাত) প্রতিনিধি ।।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪৮তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এদিনে দেশটি সীমানা নির্ধারনের মাধ্যমে বৃটিশ হতে স্বাধীনতা লাভ করে  । দিবসটি ঘিরে সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই আমিরাতের শহরগুলোকে অপরূপরূপ সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। আমিরাতেন প্রধান প্রধান প সড়কে টানানো হয়েছে জাতীয় পতাকা ও জাতীয পতাকারনরঙ সম্বলিত ব্যানার, পেষ্টুন আর রঙ বেরঙের লাইটিং। সড়কের মাঝখানে লাইট পোস্টগুলো সাজানো হয়েছে ঝলমলে লাইট দিয়ে। শহরের বড়বড় টাওয়ার, মার্কেট ও সপিংমলগুলোতে করা হয়েছে বর্ণাঢ্য চোখ ধাধানো আলোকসজ্জা। আমিরাতিসহ প্রবাসীদের অনেক গাড়িগুলোকে নানান সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত সংক্ষেপে ইউএই একটি মরুময় দেশ। রাজধানীর নাম আবুধাবি। সবচেয়ে বড় শহর দুবাই। সংযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্তরে পারস্য উপসাগর, দক্ষিণ ও পশ্চিমে সৌদি আরব ( কিঞ্চিৎ কাতার) এবং পূর্বে ওমান ও ওমান উপসাগর। স্বাধীনতা লাভের পরপরই ৬টি প্রদ এবং পরে আরো ১টি প্রদেশসহ মোট ৭টি প্রদেশ বা আমিরাত নিয়ে গঠন করা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই ৭টি আমিরাতের নাম হলো যথাক্রমে- আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, উম্মুল কুয়াইন, ফুজিরা ও রাস আল খায়মা। আল আইনটি একটি প্রদেশের মত হলেও এটি আবুধাবির উপ প্রদেশ বা উপশহর। স্বাধীনতা লাভের পরপরই সংযুক্ত আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদের সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশটি এগিয়ে যেতে থাকে। ১৯৮০ সালের দিকে তেলের সন্ধান লাভের পরপরই সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে ওঠে একটি অন্যতম তেল রপ্তানীকারক দেশ হিসেবে। তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্বে দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে দেশের অবকাঠামো। উন্নতির শিখরে এসে পৌঁছে দেশটি। সংযুক্ত আরব আমিরাত এখন মধ্যপ্রাচ্যের এক নম্বর আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।আমিরাতের বৃহত্তম শহর দুবাইতে নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এয়ারপোর্ট (আল মাকতুম এয়ারপোর্ট দুবাইতে নির্মানাধীন), বিশ্বের রেকর্ড সংখ্যক তাজা ফুলের বাগান মিরাক্কেল গার্ডেনসহ অনেক স্থাপত্যে ইউএইকে পরিচিত করেছে বিশ্বব্যাপী। প্রায় ২০ মিলিয়নের অধিক পর্যটক আসেন প্রতি বছর এ দেশে ।

নিরাপত্তার দিক থেকেও সংযুক্ত আরব আমিরাত এক নম্বর নিরাপত্তার দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। দিবসটি যথাযথভাবে সাথে পালন করা হচ্ছে । বাংলাদেশী প্রবাসীরা আমিরাতীদের পাশাপাশি দিবসটি পালনে মেতে উঠেছে ।