আরও ১২ হাজার টন পেঁয়াজ মিসর থেকে আসছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

আরও  ১২ হাজার টন পেঁয়াজ মিসর থেকে আসছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

টিপু মুনশি বলেছেন, মিসর থেকে জাহাজে করে বড় চালান ছেড়েছে। আশা করছি, ২৯ নভেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে অন্তত ১২ হাজার টন পেঁয়াজ বন্দরে আসবে। ১০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত এক সেমিনার শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী  এ কথা বলেন ।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বিমানে করে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। মিসর বা তুরস্ক থেকে যে পেঁয়াজ আসছে সেটি ১২০ টাকা আর আমাদের দেশি পেঁয়াজ ১৪০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কোনো মানুষ যদি বলে বাজারে পেঁয়াজ ১৮০ বা ২০০ সেটি কিন্তু নিউজ নয়। নিউজগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরা দরকার। আমাদের পেঁয়াজ ২৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়। এ ২৫ শতাংশের ৯০ ভাগ পেঁয়াজ আসত ভারত থেকে। ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। আমরা পুরোপুরি একটি দেশের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। এরপর আমরা মিসর, তুরস্ক ও মিয়ানমারে লোক পাঠানো শুরু করলাম। এখন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর ১ লাখ টন করে পেঁয়াজ আমদানি হতো। সেখানে সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজ এসেছে ২৫ হাজার টন, অক্টোবরে ২৪ হাজার টন। অর্থাৎ আমদানি কম হয়েছে। এখন আমাদের পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। যার জন্য ২০০ টাকা করে বিমানে করে পেঁয়াজ এনে আমরা ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। আর বেশি সময় নয় আশা করছি ১০ দিনের মধ্যে আমাদের সব পেঁয়াজ উঠে যাবে।

মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে পেঁয়াজের আজকের বাজার ১৫০ টাকা, ভারতে ১০০ টাকা আর আমাদের দেশে ১২০-২৫ টাকা। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। অপরদিকে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের বিপদ হয়েছে। আর এই বিপদ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।

শনিবার বিকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটা সময় চালের অভাব, ভাতের অভাব ছিল। এখন আর সেসব নেই। দিন বদলে গেছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে। এখন নানা ধরনের খাদ্য খেতে শিখেছে।
সেমিনারে বিসিআইয়ের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)-এর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, সেলিমা আহমদ এমপি, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্স ফেলো ‍ড. নাজনীন আহমেদ ও জাপানের রাষ্ট্রদূত নকি ইতো।