অনুমতি ছাড়াই সীতাকুন্ডে চীনা প্রতিষ্ঠানের মিলস্কেলের দুটি রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট স্থাপন

অনুমতি ছাড়াই সীতাকুন্ডে চীনা প্রতিষ্ঠানের মিলস্কেলের দুটি রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট স্থাপন
অনুমতি ছাড়াই সীতাকুন্ডে চীনা প্রতিষ্ঠানের মিলস্কেলের দুটি রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট স্থাপন

চীনা দুটি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যতিরেখে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে অনেকটা গোপনে সীতাকুন্ডে রড তৈরিতে সৃষ্ট বর্জ্য বা মিলস্কেলের দুটি রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে । বন্ধ দুটি ইস্পাত কারখানার জায়গা ব্যবহার করে এসব প্ল্যান্ট চালু করা হয়েছে। সবার নজর এড়াতে লোহা পোড়ানোর কাজটি করে রাতে। তাতে মারাত্মক দূষিত হচ্ছে কারখানার আশপাশের পরিবেশ।

মিলস্কেল বা রড তৈরিতে সৃষ্ট বর্জ্য রিসাইক্লিং করে পুনরায় তৈরি হয় রড তৈরির কাঁচামাল।

পরিবেশ দূষণের দায়ে এমন রিসাইক্লিং কারখানাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে চীন। আর এ সুযোগে হাঙা ইন্টারন্যাশনাল নামে দেশটির একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা সালেহ কার্পেট কারখানার অভ্যন্তরে গোপনে রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে ।

শুধু এটিই নয়,  আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান জিন মা বিডি ইন্টারন্যাশনাল শীতলপুরে বন্ধ থাকা আরো একটা মিলের ভিতরেও একটি প্ল্যান্ট গড়ে তুলেছে।  

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে বন্ধ থাকা কারখানার আড়ালে। আবার সবার চোখ ফাঁকি দিতে পোড়ানোর কাজটি করা হয় রাতে। স্থানীয়রা বলছেন, পোড়ানোর সময় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা।

আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী এধরনের প্ল্যান্ট করতে হলে স্থাপন করতে হয় বিশেষ চুলা আর চিমনি। কিন্তু অবৈধ এসব প্ল্যান্টে এমন কোন ব্যবস্থাই নেই। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বহুমুখী সংকট।

এসব প্ল্যান্ট স্থাপনে নেয়া হয়নি পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। এমনকি করা হয়নি আবেদনও। তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকার কারণ দেখিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলেননি পরিবেশের কর্মকর্তারা।

দেশে বছরে মিলস্কেল উৎপন্ন হয় প্রায় ২ লাখ টন। -সুত্রঃ চ্যানেল ২৪