হুইপ সামশু শেখ কামালের নামে চাঁদাবাজি করছেন, অবশেষে মেয়রের কছে আত্মসমর্পণ

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

হুইপ সামশু শেখ কামালের নামে চাঁদাবাজি করছেন, অবশেষে মেয়রের কছে আত্মসমর্পণ
হুইপ সামশু শেখ কামালের নামে চাঁদাবাজি করছেন, অবশেষে মেয়রের কছে আত্মসমর্পণ
অবশেষে চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছেই আত্মসমর্পণ করতে হলো হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে।
আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ-২০১৯’ টুর্নামেন্টটি সফল করতেই মেয়রের দ্বারস্থ হওয়া। ক্যাসিনো জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযানের সমালোচনা করে আলোচিত সমালোচিত হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেছিলেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে যে তিনজনের নাম বলেছিলেন তাদের মধ্যে প্রথমেই আছেন মেয়র নাছির।
 
হুইপ বলেছিলেন, মেয়র আগে টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে বাদ দিয়ে এবার অর্থমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করায় তিনি আমার বিরুদ্ধে গেছেন। মেয়র নাছির এ কথার কোনো জবাব না দিয়ে বলেছেন, এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভাই শেখ কামালের নাম জড়িত। এটি আমাদের আবেগের সঙ্গে জড়িত। তাই এ টুর্নামেন্টকে সফল করতে আমরা সব ক্রীড়া সংগঠকরা ঐক্যবদ্ধ। রোববার রাতে মেয়রের সভাপতিত্বে হোটেল রেডিসন ব্লুতে সাংগঠনিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদস্য সচিব সামশুল হক চৌধুরী সভা সঞ্চালনা করেন।
 
নগর আওয়ামী লীগ নেতা এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর সাবেক মহাসচিব দিদারুল আলম চৌধুরী বলেছেন, সামশুল হক চৌধুরী টুর্নামেন্টের নামে শেখ কামালের নাম বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন। গত দুটি টুর্নামেন্টের কোনো হিসাব তিনি কমিটির কাছে দেননি ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে। এবার তিনি এবং তার পুত্র কান্ডে এমনভাবে সমালোচিত ও নিন্দিত হয়েছেন তার আশপাশে আর কেউ নেই। অগত্যা তিনি মেয়র আ জ ম নাছিরের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন। কারণ তিনি জানেন, এই টুর্নামেন্ট সফল করতে হলে মেয়রের কোনো বিকল্প নেই।
 
সময়ের আলোর সঙ্গে টেলিফোন সাক্ষাৎকারে সোমবার বিকালে তিনি একথা বলেন। তিনি জানান, টুর্নামেন্টের ভেন্যু সংস্কারসহ আনুষঙ্গিক কাজে মেয়র ও সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। কারণ এতে সবার আবেগ ও সম্মান জড়িত।
 
এই টুর্নামেন্ট সফল করতে বিতর্কিত সামশুল হক চৌধুরী ও তার ছেলে শারুন চৌধুরীকে টুর্নামেন্টের সব কর্মকান্ড থেকে বাদ দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি উত্থাপন করে দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে বসে বিচ্ছু সামশুর সব অপকর্ম সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। তিনি দেশে ফিরে সামশু ঘটনাবলীর নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত যেন তাকে নিবৃত রাখা হয়।

টুর্নামেন্টের গত দুই আসরের সব হিসাব-নিকাশ দিতে যেন সামশুকে বাধ্য করা হয় এবং চলতি আসরের সব আয়-ব্যয়ের জবাবদিহিমূলক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা যে যার অবস্থান থেকে এ টুর্নামেন্টকে সফল করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। কারণ এর সঙ্গে শেখ কামালের নাম জড়িত। আমাদের আবেগ এখানে জড়িত। সামশুর মতো একজন চাঁদাবাজ জুয়াড়ির কারণে শেখ কামাল এবং আবাহনীর ভাবমূর্তি ভুলুণ্ঠিত হোক তা আমরা চাই না।

সুত্রঃ সময়ের আলো ।