সীতাকুন্ডের প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে চলছে অনিয়ম, দুর্ণীতি ও হয়রানি

সীতাকুন্ডের প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে চলছে অনিয়ম, দুর্ণীতি ও হয়রানি

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি।।

‘প্রসব বেদনা নিয়ে রোগীকে ভর্তি করানো হয়েছে সীতাকুন্ড প্রাইভেট হাসপাতালে। রোগীকে দেখে ডাক্তার বললেন, অবস্থা আশংকাজনক দ্রুত সিজার করাতে হবে। এ কথা শুনা মাত্রই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে পরিবারের সবাই। হাতে টাকা জোগাড় না থাকায় খরচ বাচাতে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নেয়ার পর পূনরায় চেকআপ করে রোগীর অবস্থা ভাল বলে আস্বস্ত করেন কর্তব্যরত ডাক্তার। এ অবস্থায় ভর্তির কিছুক্ষন পর প্রসব বেদনার সাথে স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয় নব যাতক।’

এমন একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সীতাকুন্ড প্রাইভেট হাসপাতালের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন সোবহান বাগ গ্রামের এক রোগীর অভিবাবক।’ আর এ ধরনের অহরহ নির্মম ঘটনার জন্ম দিয়ে ব্যবসার নামে মানুষের জীবন বিপন্ন করে চলছে সীতাকুন্ড প্রাইভেট হাসপাতালগুলো। অথচ নানা ছলছাতুরীতে হাসপাতালগুলো পরিচালিত হলেও নেই কোনো তদারকি । ফলে অনিয়মও দুর্ণীতির ও হয়রানির উপর ভর করে হাসপাতাল পরিচালনা করছে হাসপাতাল মালিকরা। যে কারনে প্রতিনিয়ত অভিযোগ উঠলেও নজরধারীর অভাবে সকল অনিয়ম পরিনত হয়েছে নিয়মে। এছাড়া স্ব-শিক্ষিত ডাক্তার ও নার্স দিয়ে চিকিৎসার নামে ভুয়া চিকিৎসার অহরহ অভিযোগ রয়েছে পৌরসদরে অবস্থিত হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে। আর এ ধরনের একাধিক ঘটনার উপর ভর করে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে সীতাকুন্ড জেনারেল হাসপাতাল লি: নামের প্রতিষ্ঠানগুলো।

একাধিক সূত্রে জানা যায় , দেশব্যাপী ভুয়া ডাক্তার চিহ্নিত করনে প্রশাসনের অভিযান চলাকালে রাতের আধাাঁরে সীতাকুন্ড জেনারেল হাসপাতাল হতে পালিয়ে যায় ডা.ফারুকসহ কয়েকজন ডাক্তার। আবার দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া ডাক্তারের পাশাপাশি হাসপাতালটিতে ডিপ্লোমাধারী এক সেবিকার সাথে নিয়োজিত রয়েছেন স্ব-শিক্ষিত সেবিকারা। এছাড়া ভূয়া রিপোর্ট প্রদানেরও একাধিক নজির রয়েছে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে। সে সাথে ফায়ার সার্ভিসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনেও উঠে আসে আগুন নির্বাপক ব্যবস্থার অনুপস্থিতির তথ্য। এ পরিস্থিতিতে সকল অ-ব্যবস্থাপনার মাঝে ভোগান্তির পাশাপাশি গলাকাটা ব্যায় গুনতে হয়েছে সেবা গ্রহীতাদের। অথচ বছরের পর বছর ধরে অনিয়মের ভেতর পরিচালিত হলেও তদারকি নেই প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর। ফলে যাচ্ছে তা নিয়মে চলছে এসব স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। তবে যতদুর সম্ভব নিয়ম মেনে হাসপাতাল পরিচালনা করছেন বলে জানান জেলারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. মাঈনুদ্দিন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আজিজুর রহমান বলেন, সেবায় নিয়োজিত আসল ডাক্তারের বড় অভাব ।