সীতাকুণ্ডে বিস্পোরণ :  ২৯ মরদেহ হস্তান্তর

সীতাকুণ্ডে বিস্পোরণ :  ২৯ মরদেহ হস্তান্তর
সীতাকুণ্ডে বিস্পোরণ :  ২৯ মরদেহ হস্তান্তর

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ৪৯ মধ্যে ২৯ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।

এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছি। আর ২০ জনের লাশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সংরক্ষণ করেছি। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে। তারপর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সোমবার (১৩ জুন) রাতে অগ্নি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত পরিবারের মাঝে শ্রম অধিদপ্তরের ক্ষতিপূরণের অর্থ সহায়তা প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি।

নিহত একজনের পরিবারকে দুই লাখ টাকা ও আহত ১৭ জনকে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে ঘটনার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। দুর্ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে সহায়তা সেল গঠন করা হয়েছে। এখান থেকে সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা ও আহতদের ১২০ জনকে ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে। কাল (মঙ্গলবার) শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নিহত আরও ১২ জনের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ করা হবে।

আহতদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, রোগীদের স্বজনদের নাস্তা ও উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করছি। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সসহ সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনা পরবর্তীতে যাতে কোনো ধরনের ত্রুটি না ঘটে সেজন্য নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ টিম, সিআইডি, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আশা করছি, ৩-৪ দিনের মধ্যে ঘটনার প্রকৃত তদন্ত প্রকাশ করা হবে। নিখোঁজের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে নিখোঁজ বলতে কিছুই নেই। ২০ জনের লাশ আমরা সংরক্ষণ করেছি। তাদের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি। ডিএনএ পরীক্ষার পর নিখোঁজদের লাশ হয়ত মিলে যেতে পারে।

চেক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাছির উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহমুদ উল্লাহ মারূফ, এনডিসি মো. তৌহিদুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক ও শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;