মিল কারখানার চাকুরীতে স্থানীয়দের কোটা বহাল রাখতে হবে - আমার সীতাকুণ্ড আমার ভাবনা এর সভায় বক্তারা

পোস্টকার্ড প্রতিনিধি ।।

মিল কারখানার চাকুরীতে স্থানীয়দের কোটা বহাল রাখতে হবে - আমার সীতাকুণ্ড আমার ভাবনা এর সভায় বক্তারা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নামী দামী ১০ টি গ্রুপ অব কোম্পানীসহ ও ছোট বড় ৫০টি মিল কারখানা রয়েছে। এইসব মিল কারখানায় চাকুরীতে স্থানীয় লোকদের উপস্থিতি খুবই কম বলে সীতাকুণ্ড বেকার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। তাই মিল কারখানাগুলির চাকুরীতে স্থানীয়দের নিয়োগে কোটা বহাল রাখতে হবে। কত শতাংশ স্থানীয় শ্রমিক নিতে হবে তা একটি নীতিমালার আওতায় আনতে হবে। উপরোল্লিখিত কথাগুলো বলেন, সীতাকুর ণেপেশাজীবি, রাজনৈতিক, সামাজিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে “আমার সীতাকুণ্ড আমার ভাবনা” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন বক্তা ।
দি হাঙ্গার প্রজেক্টের পেইভ প্রোগ্রামের পিস প্রেসার গ্রুপ পিপিজি সীতাকুণ্ড কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভাটি গত রবিবার সকালে সীতাকুণ্ড পৌরসভার হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ওয়াহিদি‘র সভাপতিত্বে ও মো. নাছির উদ্দিন অনিকের সঞ্চালনায় সভায় ধারণা পত্র পাঠ করেন সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুুরী। বক্তব্য রাখেন , উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ইসহাক, উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল আলম জহির, মুক্তিযোদ্ধা মানিক বড়ুয়া মুক্তিযোদ্ধা মহরম আলী, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম, পৌর কাউন্সিল আজাদ, ম্ইামুন উদ্দিন মামুন, দিদারুল আলম এ্যাপোলো, বর্ণালী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মছিউদৌলা, মর্ডাণ হাসপাতালের এমডি মো. খালেদ,  প্রেসক্লাব সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাংবাদিক জাহেদুল আনোয়ার চৌধুরী, সাংবাদিক আবুল খায়ের, এমওএইচ কাইয়ুম, খেলাঘর সভাপতি তপন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক সুজিত দাশ, সংগঠক জাহেদুল ইসলাম বিটু, শামীমা আক্তার লাভলী, প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী মাইমুনা আক্তার রুবী, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম, রিপন প্রমুখ।
বক্তারা আরো বলেন, আমাদের ১০০টির অধিক শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড থেকে হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব পায় সরকার। অন্যদিকে সীতাকুণ্ড প্রকৃতি প্রদত্ত সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এখানে রয়েছে , চন্দ্রনাথ পাহাড়, ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন, ভাটিয়ারী ও ফৌজদারহাট লিংক রোড, গুলিয়াখালী সী বীচ, বাঁশবাড়িয়া সী বীচসহ অসংখ্য পর্যটন স্পট। তাই অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন নগরী হিসেবে সীতাকুণ্ডকে গড়ে তুললে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এজন্য সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা অতি জরুরী । কল কারখানায় শ্রমিক নিয়োগে কোটা প্রথা প্রবর্তনে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে সোর্চ্চার হতে হবে।