বিএনপি কোন বছরের অক্টোবরে আন্দোলনে নামবে : প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বিএনপি কোন বছরের অক্টোবরে আন্দোলনে নামবে  : প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
বিএনপি কোন বছরের অক্টোবরে আন্দোলনে নামবে : প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

কোন্ বছরের অক্টোবর থেকে বিএনপির আন্দোলন - এমন প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। অক্টোবর থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষিত আন্দোলন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির আস্থা জনগণের ওপরে নয়, বিদেশিদের ওপর। কোনো একটা কিছু হলেই বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ উপস্থাপন করে। এ কারণে অনেকে তাদেরকে ‘বাংলাদেশ নালিশ পার্টি’ বলে।’

ড. হাছান বলেন, ‘বারংবার কূটনীতিকদের সাথে বসার মাধ্যমে বিএনপি এটাই প্রমাণ করে যে, দেশের জনগণের ওপর তাদের আস্থা নেই, বিদেশিদের ওপরেই তাদের সমস্ত ভরসা। যাদের জনভিত্তি নেই তারাই কিন্তু বারবার বিদেশিদের কাছে যায়। কোনো একটা কিছু হলেই বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ উপস্থাপন করে। একারণে অনেকে তাদেরকে ‘বাংলাদেশ নালিশ পার্টি’ বলে, এটি তাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাস্কর।’

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা আগামী মাস অর্থাৎ অক্টোবর থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষিত আন্দোলনের বিষয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কোন বছরের অক্টোবর থেকে তাদের আন্দোলন, সেটিই প্রশ্ন। কারণ তারা দশ বছর ধরে একথা বলে আসছেন। গরম একটু কমলে বা শীত একটু কমলে, বার্ষিক পরীক্ষার পরে, রোজার পরে, ঈদের পরে, বৃষ্টি একটু কমলে-এভাবে বহুসময় বহু আন্দোলনের তারিখ আমরা দেখেছি। কিন্তু তাদের পক্ষে কোনো আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।’

‘মির্জা ফখরুল কথা বলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল কিন্তু কার্যক্ষেত্রে প্রচণ্ড বিফল’ মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সাথে জনগণ নেই, জনগণ তো দূরে থাক, বিএনপির যে নেতারা আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন, তাদের ওপর তাদের কর্মীদেরও আস্থা নেই। যে নেতারা হাইকোর্টে বোরখা পড়ে হাজির হয়, তাদের ওপর কর্মীদের আস্থা থাকার কথাও নয়।’

এর আগে ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঋণ খেলাপি অপসংস্কৃতি জিয়াউর রহমানের আমলে শুরু। এখন তা অনেক কমে এসেছে। গত দশ বছরে জিডিপি ও অর্থনীতির আকার অনেক বড় হওয়ায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি দেখালেও শতকরা হারে তা আগের চেয়ে অনেক কম।’