পৌরসভা ঘোষনার দীর্ঘ ১৯ বছরেও কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি সীতাকুন্ড পৌরসভার

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

পৌরসভা ঘোষনার দীর্ঘ ১৯ বছরেও কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি সীতাকুন্ড পৌরসভার
পৌরসভা ঘোষনার দীর্ঘ ১৯ বছরেও কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি সীতাকুন্ড পৌরসভার

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি ।।
দীর্ঘ ১৯ বছর পার হতে চললেও হয়নি কাঙ্খিত উন্নয়ন সীতাকুন্ড  পৌরসভার । প্রতি বছর ভ্যাট-টেক্স বৃদ্ধির সাথে যথার্থ উন্নয়ন না হওয়ায় পৌরবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তুষ্টি। অথচ উন্নয়ন  চিত্রের প্রতিফলন না ঘটলেও বছরের পর বছর বর্ধিত টেক্সের ভারে জীবন যাত্রায় নেমে এসেছে দৈন্যদশায়।
উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩ নং ইউনিয়নকে ১৯৯৮ সালে পৌরসভা হিসেবে ঘোষনা করে বর্তমান সরকার। এ অবস্থায় দীর্ঘ ১৮ বছর পর ৩য় গ্রেড থেকে ১ম গ্রেডে উন্নিত হয়েছে সীতাকুন্ড পৌরসভা। কিন্তুু গ্রেডগত উন্নয়ন হলেও মানগত উন্নয়ন হয়নি পৌরসভার প্রতিটি এলাকা। এ পরিস্থিতিতে এলাকার সমস্যার কুলকিনারা না হওয়ায় পৌরবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ – হতাশা।
পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের লোকজন বলেন,‘ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পৌরসভা হওয়ার দীর্ঘ বছর পার হলেও এখনো এলাকায় পৌছেনি পর্যাপ্ত ডাষ্টবিন,পয়স্কিাশন,পানিয় জল,লাইটপোষ্টসহ নাগরিক সুবিধা। অথচ প্রতি বছর ভ্যাট-টেক্স বৃদ্ধির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বর্তমানে পৌরসভার রাস্তা-ঘাটের চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার অনেক বেশী উন্নতি হয়েছে বলে জানান তারা।
সরেজমিনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ভেঙে ভেঙে পড়ছে এলাকার রাস্তা-ঘাট। পয়স্কিাশন ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় র্দুগন্ধে রাস্তার পাশ দিয়ে হাটা-চলা মুশকিল। পরিস্কার পরিচ্ছন্তার অভাবে ময়লা-আর্বজনায় পূর্ন হয়ে উঠেছে নালা-নর্দমা। এছাড়া আইন লঙ্ঘণ করে ঘর-বাড়ি নিমার্ণের হওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছে পানি চলাচলের পথ। এ অবস্থায় নাগরিক সুবিধা কি তা বুঝে উঠতে মুশকিল হচ্ছে পৌরবাসীর। অথচ ভ্যাট-টেক্সের সাথে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করা পৌরসভার নৈতিক দায়ীত্ব বলে মনে করেন সচেতন নাগরিকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা প্রদানে পৌরসভায় নিয়োজিত রয়েছে পৌর প্রশাসক ও কাউন্সিলারসহ ৫৫জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এরমধ্যে পয়নিস্কাশনে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োজিত রয়েছে ২৫ জন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মী। আবার স্থায়ী না হওয়ায় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজ করে যেনতেনভাবে। এছাড়া লোক সংকট থাকায় কর্ম খালি রয়েছে সার্ভেয়ারের পোস্টসহ একাধিক কর্ম। এ অবস্থায় লোকবল সংকটে পড়ে সমস্য সমূহ স্থায়ী রুপ ধারণ করায় নাগরিক সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। অথচ প্রতি বছর পৌর এলাকার উন্নয়নে ঘোষিত হয় বড় অংকের বাজেট। এ বছর ১৬-১৭ অর্থ বছওে উন্নয়নে ৩৯ কোটি ৫৩ লক্ষ ৩৩ হাজার,৮’শ টাকার বাজেট ঘোষিত হয়েছে। সে সাথে ৩৮ কোটি,৩৬ লক্ষ, ১৩ হাজার টাকা বাজেটে ব্যায় দেখানো হলেও উন্নয়ন কর্মকান্ড নেই বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আলহাজ্ব বদিউল আলম বলেন,‘ বিগত সময়ের তুলনায় আমার আমলে পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। লাইটপোষ্টসহ ডাস্টবিনগুলো নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব রকমের উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যহত রেখে সীতাকুন্ড পৌরসভাকে ডিজিটাল পৌরসভায় রুপান্তরের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।