প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধন ঘোষণা করলেন

প্রধানমন্ত্রী  মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধন ঘোষণা করলেন

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। রাজধানীর পুরোনো বিমানবন্দরে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে আছেন ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়সহ পরিবারের সদস্যরা।

প্রতীকী বিমান অবতরণের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালের মুহূর্তটি ফুটিয়ে তোলা হয়। এ সময় আলোক প্রক্ষেপণ ও তোপধ্বনি, প্রতীকী গার্ড অব অনার দেওয়ার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার ঘড়িও উদ্বোধন করেন তিনি।


চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৯ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার। ১৭ মার্চ থেকে ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন শুরু হলেও আজ থেকে শুরু হলো ক্ষণগণনা।

পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ১৯৭১ সালের ১০ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এর আগে পুরো স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন।

মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানটি সাজানো হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে। অনুষ্ঠানস্থলে একটি প্রতীকী বিমান অবরতণ করে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমান এখানেই অবতরণ করেছিল। সেজন্যই প্রতীকী বিমান অবতরণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়।

৪৮ বছর আগে বিমান থেকে নামার পর শেখ মুজিবুর রহমানকে যেভাবে বরণ করা হয়েছিল ঠিক একই কায়দায় প্রতীকী গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এছাড়া বিমান থেকে আলোক প্রক্ষেপণ এবং তোপধ্বনিও দেয়া হয়।

ক্ষণগণনার জন্য দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি স্থানে এবং প্রতিটি বিভাগীয় ও জেলায় ঘড়ি বসানো হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার ৮০টির বেশি স্থানে ক্ষণগণনার ঘড়ি বসানো হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, যেখানেই বাংলাদেশের মিশন আছে, সেখানে আমরা মুজিব বর্ষ উদ্‌যাপন করব। মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের নতুন ব্র্যান্ডিং করতে চাই। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে একটি সম্ভাবনার দেশ হিসেবে তুলে ধরতে চাই। বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ।

৭৭ মিশনে ২৬১ অনুষ্ঠান

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পাশাপাশি দেশে সারা বছর যেসব অনুষ্ঠান হবে, তাতে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভাষায় বঙ্গবন্ধুর নির্বাচিত ভাষণ প্রকাশ ও প্রচার, বঙ্গবন্ধুর বিদেশ সফরের ওপর প্রামাণ্যচিত্র তৈরি এবং সমুদ্র বিজয়ের ওপর একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৭৭টি দূতাবাসে ২৬১টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।