তারা হাসি ফোটালেন পথশিশু ও প্রবীণদের মুখে

আফসানা ইয়াছমিন সায়েমা ।।

তারা হাসি ফোটালেন পথশিশু ও প্রবীণদের মুখে
তারা হাসি ফোটালেন পথশিশু ও প্রবীণদের মুখে

অবহেলায় কাটে ওদের জীবন । কখনও অর্ধাহারে কখনও অনাহারে পথের ধারে। ওরা পথপ্রবীণ-পথশিশু। সেই চিরদুঃখী শিশু ও প্রবীণদের জীবনে কিছুক্ষণের জন্য নেমে এসেছিল আনন্দের ধারা। তাদের হাসি-খুশিতে ভাসিয়েছে নগরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন।

পথের এসব বৃদ্ধ আর শিশুর কারও হাতে তুলে দেয়া হলো পড়ার টেবিল, শিক্ষাসামগ্রী আবার কারও হাতে শাড়ি-লুঙ্গি, লেপ-তোশক, ইলেকট্রিক ফ্যান ইত্যাদি। যা পেয়ে শেষ বয়সে অনেক প্রবীণ যেমন আশার আলো দেখছেন, বঞ্চিত পথশিশুরা দেখছে আগামীর ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) নগরের সিআরবি শিরিষতলায় এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মূল্যবোধের সামাজিক সংগঠন ‘স্বপ্ন ও আগামী’র। বিশ্ব প্রবীণ দিবস ও হাসি দিবস উপলক্ষে পথপ্রবীণ ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে এই আয়োজন করে সংগঠনটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব সামগ্রী বৃদ্ধ ও শিশুদের হাতে তুলে দেন ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি লায়ন মো. গিয়াস উদ্দিন, রোটারিয়ান প্রফেসর ডা. আকবর হুসাইন ভূঁইয়া, এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার লায়ন মু. আবুল হাসনাত, লায়ন কাজী আলী আকবর জাসেদ, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং এ্যাঞ্জেল এর চার্টার প্রেসিডেন্ট লায়ন অ্যাডভোকেট মোঃ সরোয়ার হোসাইন লাভলু, এস এম জাকের উল্লাহ্।

প্রধান আলোচক ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম কবির। বক্তব্য রাখেন স্বপ্ন ও আগামীর সভাপতি জামিউল ইসলাম মামুন, পরিচালক বক্তেয়ার হোসাইনসহ নেতারা।

স্বপ্ন ও আগামীর প্রতিষ্ঠাতা লিয়াকত আলি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দীন আদির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ মুসলিম বলেন, মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মতো ভালো কাজ আর হতে পারে না। এই কাজ স্রষ্টা ইবাদত হিসেবে গ্রহণ করবে, মনে প্রশান্তি দেবে। তিনি বলেন, যুবক বয়সের সৎকর্ম আল্লাহ বেশি পছন্দ করেন। এই সময় তোমরা সৎ কাজ করছ, এটাই সবচেয়ে সেরা কাজ, এখানেই জীবনের বড় সফলতা।প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে ভালো কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ মুসলিম বলেন, তরুণরা এগিয়ে আসলে সমাজে অনৈতিকতা, বিশৃঙ্খলা, মাদক এসব থাকবে না। গড়ে উঠবে মাদক, সন্ত্রাসমুক্ত, নৈতিকতাপূর্ণ সমাজ। হবে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

আয়োজনের কয়েক ঘণ্টা বৃদ্ধ ও শিশুদের হাসি-আনন্দে মাতিয়ে রাখতে ছিল বিভিন্ন খেলাধুলা। অনুষ্ঠান শেষে ৫৫ জন প্রবীণ ও ২০ জন সুবিধাবঞ্চির শিশুর মাঝে প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়।