চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিতর্কিত কাউন্সিলররা নাই, মনোনয়ন পাননি অধিকাংশ নারী কাউন্সিলর

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিতর্কিত কাউন্সিলররা নাই, মনোনয়ন পাননি অধিকাংশ নারী কাউন্সিলর

বদরুল ইসলাম মাসুদ ।।

এবার দল থেকে মনোনয়ন পাননি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এর বর্তমান কাউন্সিলরদের মধ্যে নানাভাবে সমালোচিত ও বিতর্কিতরা । অনেকে কাউন্সিলর হয়ে ক্ষমতার দাপটে ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, এলাকায় সন্ত্রাস ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি করে আসছিলেন।
এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীরাও কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। কেউ কেউ রাগে ক্ষোভে দলীয় কার্যক্রম থেকেও নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছিলেন। আবার কেউ কেউ এসব বিষয়ে হাই কমান্ডটে নানাভাবে অবহিতও করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ওই সময় নিরব থাকলেও মনোনয়নের সময় এসে ‘অ্যাকশন’এ যায়। চসিকের বিতর্কিত ও সমালোচিত কাউন্সিলরদের এবার আর মনোনয়ন দেয়নি। বিষয়টি দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে যেমন চাঙ্গাভাব সৃষ্টি করেছে, তেমনি সাধারণ মানুষও আওয়ামী লীগের এমন সিদ্ধান্তে ‘খুশি’।
এর আগে চসিক মেয়র পদেও চমক দেখায় আওয়ামী লীগ। চসিকের মেয়রের পর এবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদের মনোনয়নেও বড় চমক দিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এক ডজনেরও বেশি প্রভাবশালী কাউন্সিলর এবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের পুরনোদের মধ্যে মনোনয়ন পেয়েছেন ২৭ জন। এবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বাদ পড়েছেন পুরোনো ১৯ কাউন্সিলর।
তবে চসিক নির্বাচনে এবারে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বাদ পড়েছে অনেকে। পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্যের কারণে সক্রিয় রাজনীতি না করেও কেউ কেউ মনোনয়ন পেয়েছেন।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আ জ ম নাছির উদ্দীন বিগত নির্বাচনে তার অনুসারীদের জয়ী করে এনেছিলেন। কিন্তু তারা চসিকের উন্নয়ন, দলীয় কার্যক্রমে সময় দেয়ার পরিবর্তে নিজ নিজ আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিলেন। অপরদিকে নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীন অনুসারীরা রাজনীতিতে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। আর এসব বিষয় হাইকামান্ডকে বোঝানো হয়েছে। ফলে দলীয় নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব দিক বিবেচনা করে বিতর্কিত ও দলীয় কার্যক্রমে প্রায় নিষ্ক্রিয় কাউন্সিলরদের বাদ দিয়ে অধিকতর ভালো প্রার্থীদের মনোনয়ন দেন।
এদের মধ্যে একাধিকবার নির্বাচিত হওয়া কাউন্সিলর যেমন আছেন, তেমনি আছেন প্রথমবারের মত নির্বাচিত হওয়া প্রতাপশালী কাউন্সিলররাও। যাদের বিরুদ্ধে ছিল বিভিন্ন অভিযোগ। তবে দলীয় মনোনয়ন থেকে বাদ পড়া এসব কাউন্সিলরদের সবার একটা জায়গায় বেশ মিল। বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত তারা।
১৪ নম্বর লালখানবাজার ওয়ার্ডের টানা তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন এএফ কবির আহমদ মানিক। এবারের চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে পাননি তিনি। চলতি মেয়াদে বারবার দ্বিপক্ষীয় সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে এই ওয়ার্ডে। ঘটেছে রাজনৈতিক প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুনোখুনির ঘটনাও। কাউন্সিলর মানিক স্থানীয় সাংসদ ডা. আফসারুল আমীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এই ওয়ার্ডে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আবু হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল।
১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড থেকে তিন মেয়াদে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হোসেন হীরন। এক সময় প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত এই কাউন্সিলর খুলশী থানা আওয়ামী লীগের আহবায়কের দায়িত্বও পালন করছেন। গত নির্বাচনে আ জ ম নাছির মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর স্রোত বদলে নাছিরের বলয়ে রাজনীতি শুরু করেন হীরন। হীরনের বিরুদ্ধে রেলওয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে। হীরনের এসব অবৈধ কর্মকান্ড সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। বিষয়টি হাই কমান্ড ভালোভাবে নেয়নি। তাই এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন হীরন। এই ওয়ার্ড থেকে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী।
১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড থেকে টানা দুই মেয়াদে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মোর্শেদ আকতার চৌধুরী। একসময় মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত নগর আওয়ামী লীগের এই সদস্য গত নির্বাচনের পর থেকে আ জ ম নাছিরের সাথে সখ্য বাড়িয়ে সমালোচিত হয়েছেন নিজ বলয়ের নেতাকর্মীদের কাছে। তরুণ ও জনপ্রিয় এই কাউন্সিলরের সাথে স্থানীয় সাংসদ আফসারুল আমীনের খুব একটা সখ্য ছিল না। এবারে এই ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি মোর্শেদ। মনোনয়ন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসমাইল। স্থানীয় সাংসদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মো. ইসমাইল।
২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মো. সাহেদ ইকবাল বাবুর পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন নগর যুবলীগের সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম। বর্তমান কাউন্সিলর বাবুর বিরুদ্ধে ভূমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
নগরীর ৩১ নং আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম। এই ওয়ার্ড থেকে ৪ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও এবার দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। তিনিও মহিউদ্দিনের বলয় থেকে গতবার যোগ দিয়েছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীনের বলয়ে। এই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় নাম এসেছে তার। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে হকার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, রিয়াজুদ্দিন বাজারকেন্দ্রিক বিভিন্ন সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। এবার এই ওয়ার্ডে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মো. আব্দুস সালাম। মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত এই নেতা আলকরণ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।
৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড থেকে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন জহুরুল আলম জসিম। আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এই কাউন্সিলর দায়িত্বের পুরো মেয়াদে ছিলেন ব্যাপক সমালোচিত। পাহাড় কাটা, ভূমি দখল, সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসিয়ে চাঁদা তোলা, মাদক ব্যবসাসহ নানান অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তবে এই ওয়ার্ডের বেশিরভাগ ভোটার সন্দ্বীপের হওয়ায় ভোটের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান রয়েছে জসিমের। এছাড়া উন্নয়নও করেছেন বেশ। তবে এসব উন্নয়নে অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ আছে এক মেয়াদে শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন জসিম। এবার এই ওয়ার্ডে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন জসিম। তার বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আবছার মিয়া।
৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডে হাসান মুরাদ বিপ্লবও এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হলেন। আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এই নেতা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য। দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন কারণে আলোচনা-সমালোচনায় ছিলেন তিনি। তবে তার হাত ধরে উন্নয়নও হয়েছে এই ওয়ার্ডে। এবারে এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী তিনি।
১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মোহাং ইয়াছিন চৌধুরী আছুর পরিবর্তে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. নুরুল আলম। আছু দলীয় নেতা-কর্মীদের এড়িয়ে চলা, এলাকার উন্নয়ন না করা ও ভূমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।
২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে গতবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন আব্দুল কাদের। আ জ ম নাছিরের অনুসারী সাবেক এই ছাত্রনেতা নানা কারণে নগরে আলোচিত। কাউন্সিলর হওয়ার আগে ১৯টি মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে। যদিও পরে রাজনৈতিক বিবেচনায় বেশিরভাগ মামলা প্রত্যাহার করা হয়। তবে কাউন্সিলর হওয়ার পর আগ্রাবাদ এলাকায় হকার নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, সদরঘাটে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত ছিলেন তিনি। এবার এই ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাহাদুর। সাবেক এই কাউন্সিলর স্থানীয় রাজনীতিতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।
১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌফিক আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় একটি খুনের মামলা রয়েছে। ২০১৬ সালে নূর এলাহী নামের এক যুবলীগ কর্মী খুন হন। এ মামলার আসামি তিনি। এ ছাড়া কোতোয়ালী থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিস্তর অভিযোগ এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।
এদিকে, সাধারণ কাউন্সিলরদের মতো সংরক্ষিত (নারী) কাউন্সিলরদের অধিকাংশই এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। এসব কাউন্সিলদের বিরুদ্ধে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে অসদাচরণ, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে বেশি সময় দেয়, এলাকার উন্নয়নের তেমন ভূমিকা না রাখাসহ নানা বির্তক ও সমালোচনা রয়েছে।
এছাড়া ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মো. আবুল হাশেমের পরিবর্তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন। ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর এইচ. এম সোহেলের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী। ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে মো. আবদুল কাদেরের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম বাহাদুর। ৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাউল্লাহ চৌধুরী। এসব কাউন্সিলররা কাঙ্খিত উন্নয়ন না করে ব্যক্তিকেন্দ্রিক উন্নয়নসহ নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসীর পরিবর্তে মনোনয়ন পান ৪২ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জোহরা বেগম। ৯, ১০ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড বর্তমান কাউন্সিলর আবিদা আজাদের পরিবর্তে নগর আওয়ামী লীগের সদস্য তছলিমা বেগম নুরজাহান মনোনয়ন পান। ১৬, ২০ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগমের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা রুমকি সেনগুপ্ত।
১২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদের পরিবর্তে ২৪ নম্বর মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুর আক্তার প্রমা মনোনয়ন পান। ১১, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে জেসমিন খানমের পরিবর্তে নগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হুরে আরা বেগম মনোনয়ন পেয়েছেন। ২৮, ২৯ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ফেরদৌসি আকবরের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিট আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা জিন্নাত আরা বেগম।