কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে , নিত্যনতুন অপরাধে জড়াচ্ছে

কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে  ,  নিত্যনতুন অপরাধে জড়াচ্ছে
কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে , নিত্যনতুন অপরাধে জড়াচ্ছে

‘কিশোর গ্যাং’ এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু । সাধারণ জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনী, সবারই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভয়ংকর গ্যাং-ভিত্তিক এসব কিশোর। রাজধানী থেকে শুরু হওয়া ‘কিশোর গ্যাং’-এর ট্রেন্ড ছড়িয়ে পড়েছে জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে মফস্বল শহরেও। শুধু শহরেই নয়, ছড়িয়ে পড়েছে মফস্বলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতেও। গ্যাংয়ের বাইরেও এককভাবে কিশোররা জড়াচ্ছে বিভিন্ন অপরাধে। গৃহবধূকে ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কেও বাধ্য করেছে কিশোররা। স্কুলের গণ্ডিতে থাকা কিশোররাও প্রেমের ফাঁদে ফেলে সহপাঠী কিশোরী ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করছে বিভিন্নভাবে। ঘটনার পরম্পরায় প্রতিনিয়তই দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কিশোররা এসব অপরাধে জড়াচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক অনুশাসনের অভাব, ইন্টারনেটের অপব্যবহার ও রাজনৈতিক দুষ্টচক্র— মূলত এই তিন কারণেই গড়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। যারা উঠতি বয়সেই সমাজে বিভিন্ন অপরাধ কর্মে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বরগুনার ‘০০৭’ নামে কিশোর গ্রুপের সদস্যদের মধ্যকার মনোমালিন্য ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব থেকে হত্যাকাণ্ডের মতো মারাত্মক যে ঘটনা ঘটেছে, তা কিশোর গ্যাংয়ের সৃষ্ট অপরাধের একটি বড় উদাহরণ। এ ঘটনায় গোটা দেশে তোলপাড়ও সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গজিয়ে ওঠা কিশোর গ্যাং গ্রুপের চলছে প্রতিযোগিতা— প্রতিপক্ষ গ্রুপকে দমাতে প্রকাশ্যে হুমকি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপের নানা তৎপরতা, নতুন সদস্য সংগ্রহে প্রতিযোগিতা, আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট ও ছিনতাই-ইভটিজিং। এর মধ্যে পান থেকে চুন খসলেই প্রতিপক্ষের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়ায়। খুন-খারাবির ঘটনা তো ঘটছে অহরহই।

সমপ্রতি এভাবেই সারা দেশে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং গ্রুপ। যেখানে একই নীতি-স্টাইলে সারা দেশে অন্তত সহস্রাধিক গ্যাং তৎপরতা চালাচ্ছে, সেখানে কুমিল্লায় স্কুলের গণ্ডিতে থাকা কিশোররা জড়াচ্ছে ভিন্ন স্টাইলে অপরাধে। এদের মধ্যে ইভটিজিং, খুন-খারাবির মতো ঘটনা ঘটানোর প্রবণতা দেখা না গেলেও সহপাঠী ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করা, গ্যাং সক্রিয় রাখার প্রবণতাই দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

সম্প্রতি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি হাইস্কুলে সদ্য গজিয়ে ওঠা কিশোর গ্যাংয়ের এমনি একটি ঘটনা জানা যায় আমার সংবাদের অনুসন্ধানে। বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে আপত্তিকর ছবি তুলে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করছে ওই গ্রুপ। ভুক্তভোগী ছাত্রীর কাছ থেকে আদায় করা টাকার ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছে গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জড়িতদের অভিভাবকদের ডেকে দেন-দরবারের মাধ্যমে সমাধানও করেছেন একাধিক ঘটনার। এর মাধ্যমে গ্যাংয়ের মূল হোতাকে স্কুল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলেও অন্যদের করা হয়েছে জরিমানা। কাউকে দেয়া হয়েছে শারীরিক শাস্তি। এ ধরনের ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক।

গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত এক কিশোরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই গ্যাংয়ের মূল হোতা দীর্ঘদিন ধরেই সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। সে সম্পর্কের কথা তার সহপাঠীরাও জেনে যায়। কিছুদিন ভালোভাবে চললেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইমু সফটওয়্যারের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর (প্রেমিকা) আপত্তিকর ছবি বিনিময় হয় তাদের মধ্যে। এ ছবিই যেন কাল হলো প্রেমিকা ওই ছাত্রীর। ছবি দেয়ার পর থেকেই ওই ছাত্রীকে গুনতে হয়েছে ২৭ হাজার টাকা। গ্যাংয়ের সব সদস্যের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা হওয়া টাকা দিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে বলে জানা যায়।

স্কুলের পাশের এক ব্যবসায়ী জানান, এ গ্রুপের সদস্যরা এসএসসি পরীক্ষার্থী হওয়ায় স্কুলের বোর্ডিংয়ে থেকে পড়াশোনা করছে। কিন্তু রাতের বেলায় ডিউটিরত শিক্ষক ঘুমিয়ে পড়লেই এদের অপরাধকর্ম শুরু হয়। স্কুলের পাশের দোকান থেকে সিগারেট চুরি থেকে শুরু করে অসংখ্য অপকর্ম করে তারা। এসব নিয়ে স্কুলে অসংখ্য অভিযোগ করা হয়েছে। বিচারও হয়েছে। কিন্তু তারা শুধরাচ্ছে না।

এদিকে একই এলাকায় ১৫ বছর বয়সি এক কিশোর এক গৃহবধূকে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেছে বলেও জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী দীর্ঘদিন। বিয়ের পর থেকেই গৃহবধূ অন্য এক ছেলের সঙ্গে পরকীয়ার কথা জেনে যাওয়ায় ওই কিশোর গৃহবধূকে অনুসরণ করতে থাকে। এরই মধ্যে ওই কিশোর গৃহবধূর ঘরে ঢুকে মোবাইলে থাকা মেমোরি কার্ড খুলে নিয়ে যায়। মেমোরিতে থাকা পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে অসংখ্য আপত্তিকর ছবির সংগ্রহ দেখে গৃহবধূকে ফোন করে কিশোর জানায়, তার ব্যবহূত মেমোরি, এতে থাকা সব অডিও-ভিডিও, ছবি এবং মেসেজ এখন তার হাতে। এ কথা শুনে মানসিক চাপে পড়া ওই গৃহবধূ ওই কিশোরের সঙ্গে বাধ্য হয়ে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগও করেন। এরই একপর্যায়ে কিশোরের কথামতো ওই গৃহবধূ একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কেও জড়ান। কিন্তু এতেও ক্ষান্ত হয়নি ওই কিশোর। ১০ লাখ টাকা চেয়ে চাপ দেয়। দিশাহারা গৃহবধূ বিষয়টি তার স্বামীর পরিবারকে জানায়। যা শেষ পর্যন্ত গড়ায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদেও।

তথ্য মতে, গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে চেয়ারম্যান ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে সমাধানের জন্য সালিশ ডাকেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দরবারের গৃহীত সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। এ ছাড়া চট্টগ্রামেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে কিশোর অপরাধীরা। গত আট মাসে চট্টগ্রামে কিশোর অপরাধীদের হাতে খুন হয়েছেন ছয়জন। গত দেড় বছরে কিশোর অপরাধের কারণে নগরীর বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে ২৫টি। রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এতে কিশোররা প্রকাশ্যেই জড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী সঙ্ঘাত ও হানাহানিতে। ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র আদনান ইসপারকে প্রকাশ্যে মাথায় গুলি করে হত্যার ঘটনার পর নগর দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর অপরাধীদের নিয়ে নড়েচড়ে বসেছিল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ সময় প্রতিটি পাড়ায় সক্রিয় কিশোর গ্যাংয়ের তালিকাও করা হয়েছিল। কিশোরদের আড্ডায় নিয়মিত হানা দিয়েছিল পুলিশ।

পুলিশের তথ্য মতে, নগরীতে অন্তত ৩০০ কিশোর গ্যাং চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীতে কিশোর অপরাধীদের সন্ধানে নেমেছে র্যাব। পাশাপাশি সক্রিয় পুলিশও।

এদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চাইল্ড হ্যাভেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র মহসিনকে হত্যা করে ‘আতঙ্ক’ গ্রুপের সদস্যরা। গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে এবং এক তরুণীকে নিয়ে বিরোধের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়। গত ২৯ জুন হাজারীবাগ এলাকায় ১৫ বছর বয়সি ইয়াছিন আরফাত ও ৭ জুলাই গ্লোরিয়া হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র শাওন খুন হয়। পরে র্যাব বংশাল, তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার, লালবাগ, হাজারীবাগ ও সূত্রাপুরে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৫৮ জনকে আটক করে। ২০১৮ সালের ১ মার্চ পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারের শনি মন্দিরের সামনে হলি উৎসবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় রওনক নামে এক কিশোরকে। ওই ঘটনায়ও কিশোর গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের ৬ জানুয়ারি উত্তরার ‘ডিসকো বয়েজ’ ও ‘নাইন স্টার’ গ্রুপের দ্বন্দ্বে খুন হয় ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান কবির।

সম্প্রতি ঢাকা, চাঁদপুর, নওগাঁ, গাইবান্ধা ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় নবনিযুক্ত পুলিশ সুপারদের ব্রিফিংকালে কিশোর গ্যাং কালচার যাতে গড়ে না উঠে, সে জন্য তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, গ্যাং কালচারের নামে শিশু-কিশোররা সমাজে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তাই দেশের কোথাও যেন কিশোর ‘গ্যাং কালচার’ গড়ে উঠতে না পারে, সে ক্ষেত্রে জেলার পুলিশ সুপারদের তৎপর থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে কিশোর গ্যাংয়ের এক হাজার ২০০ জন সদস্যকে রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করা হয়েছে। পুলিশের সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য রোধে কাজ করছে পুলিশ। এ বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ নিতে পুলিশের সকল ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি এ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগেরও নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের নামে যে সকল কিশোর নানা অপরাধে জড়িত হচ্ছে, তাদের অনেককেই ইতোমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

তবে কিশোর অপরাধীদের সমস্যা শুধু আইন প্রয়োগ করে সমাধান করা যাবে না, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে তৃণমূল থেকে। যার প্রথম ধাপ পরিবার, মাঝে সমাজ ও শেষ ধাপে রাষ্ট্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত ১০-১৫ বছর আগেও দেশে কিশোর গ্যাং নিয়ে কোনো আলোচনা ছিলো না। কিন্তু গত ১০ বছরের ব্যবধানে দেশের প্রত্যেক কিশোরের হাতে পৌঁছেছে স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেট। অপরাধ প্রবণতা বাড়ায় এমন কিছুই ইন্টারনেটে কিশোররা শিখছে বেশি। পারিবারিক ও সামাজিক অনুশাসন ভেঙে পড়ায় কিশোরদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। ফলে তাদের ভেতরে সঠিক ও সুস্থ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকেই ট্রেন্ড হিসেবে দেখছে। এ ছাড়া এলাকা ভিত্তিক রাজনৈতিক ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যও সচেতনভাবে কিশোর গ্যাং সৃষ্টি করা হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আকিব উল হক বলেন, ‘একজন কিশোর প্রাইভেসির নাম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রুমের দরজা বন্ধ করে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। সে খারাপ কিছু শিখছে কি না— তা পরিবারের লোকজন জানার চেষ্টা করছে না। পারিবারিক এমন সংস্কৃতি থেকেই কিশোররা ইন্টারনেটে নানা অপরাধমূলক অনুষ্ঠান দেখে নিজেকে অপরাধী হিসেবে গড়ে তুলছে।’ তিনি বলেন, ‘কিশোরকাল মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ সময় তাদের সুন্দর পরিবেশ উপহার না দিলে, তারা ভুল পথে চলে যাবে; এটাই স্বাভাবিক। আমাদের সমাজে সেই পরিবেশ নেই বলেই কিশোররা অপরাধী হয়ে উঠছে। তাদের সুস্থ বিনোদনের অভাব, খেলার মাঠের অভাব ও সংস্কৃতি চর্চারও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। তাই কিশোররা ভুল পথে চলে যাচ্ছে।’