আউটার রিং রোড : উন্নত বিশ্বের আবহ এনে দিয়েছে পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূলে

আউটার রিং রোড : উন্নত বিশ্বের আবহ এনে দিয়েছে পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূলে
আউটার রিং রোড : উন্নত বিশ্বের আবহ এনে দিয়েছে পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূলে

ইফতেখার মারুফ।

চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে অভূতপূর্ব কাজ করে চট্টগ্রামের মানুষের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। সিডিএ’র অনেকগুলো উন্নয়ন কাজের মধ্যে একটি আউটার সিটি রিং রোড প্রকল্প। এই রিং রোডকে ঘিরে পাল্টে যাচ্ছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের শহরের চেহেরা।
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার আউটার সিটি রিং রোড। এ সড়ক একদিকে পতেঙ্গা উপকূলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচাবে এবং অপরদিকে বন্দরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব সহজ হবে। একই সাথে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে উন্মোচিত হবে পর্যটনের নতুন দ্বার। প্রকল্পটির কাজ এগিয়ে চলছে খুব দ্রুত গতিতে। আশা করা হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে এই প্রকল্পের কাজ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে সহজে বন্দরে যাতায়াত এবং বন্দর নগরীর অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে আরো উন্নত করার লক্ষে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- সিডিএ’র সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান কর্মবীর আলহাজ¦ আবদুচ ছালাম। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পের কাজ চলছে তিন ভাগে। একটি হচ্ছে ফৌজদারহাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার আউটার সিটি রিং রোড। সাগর থেকে ৩৩ ফুট উঁচু সুপরিসর এই সড়ক উপকূলবাসীকে জ¦লোচ্ছ্বাস হতে রক্ষায় কাজ করবে। একই সাথে কমে আসবে নগরীর যানজট। সড়কটি পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় এনে দিয়েছে উন্নত বিশে^র সমুদ্রের আবহ।
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।’
এদিকে আউটার সিটি রিং রোড ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড হয়ে মীরসরাই যুক্ত হবে এর সাথে। একই সাথে অন্যপ্রান্ত যুক্ত হবে কর্ণফুলী ট্যানেলে।