অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের  বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।

বাংলাদেশের নাম ব্যবহার করে সিরিয়ার ধ্বংসযজ্ঞের ছবি দিয়ে বিভ্রান্তিকর এক ফেসবুক পোস্ট করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল । বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন করে  বিভ্রান্তিকর এই ছবি ছড়িয়ে বলে এই প্রতিষ্ঠানটির নামে অভিযোগ উঠে। বিতর্কিত সৃষ্টি হওয়া কারনে পোষ্টটি হাইড করে রাখলেও এখনো বিশ্বজুরে শেয়ার হচ্ছে।

অ্যামনেস্টি ১০ জানুয়ারি নিজেদের পেজে পোষ্ট করে সকলকে তাদের সদস্য হওয়ার আহ্বান জানান। পোস্টে ব্যবহার করা হয়েছে  সিরিয়ার ছবি। ছবিটিতে একটি ধসে পড়া বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দুই শিশুকে। অন্যদিকে সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্ব জুরে অনেক সাধারণ মানুষ ভুল সময় ভুল স্থানে থাকার কারণে আক্রমণ, ভায়োলেন্স ও মৃত্যুর মুখে পড়ছে। যুদ্ধ ও সংঘর্ষের সময় আক্রান্তদের কথা প্রকাশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি আমরা। না বলা গল্পগুলো জানাতে লাখো মানুষের এই আন্দোলনে আপনিও যোগদিন।’

বাংলাদেশিরা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এই পোস্টে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে । সেখানে তাদের এক টপ ফ্যান মো. সজীব ইসলাম লেখেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কী পাগল হয়ে গেছে? বাংলাদেশে কোন যুদ্ধ চলছে না। এটা কিভাবে লেখা হলো! এখনি পোস্টটি মুছে দিন।’

In Bangladesh and across the world, innocent people face attacks, violence and death - just for being in the wrong place...

Posted by Amnesty International on Friday, January 10, 2020
১০ তারিখে ফেসবুকে দেয়া এই পোস্ট নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলেও বিষয়টি নিয়ে অবগত ছিলো না অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।

পোস্টটি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এমন পোস্ট যাওয়া উচিত হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর আমাদের টেকনিক্যাল দলের কাছে পাঠানো হয়েছে। পোস্টটি প্রদান করা হয়েছিলো সারা বিশ্বের যে কোন মানুষকে মানবাধিকার এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে সেখানে নির্দিষ্ট একটি দেশের নাম দেয়া উচিত হয়।

পোস্টটি মুছে ফেলা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে অবগত করার পর এখন ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে দারুণ সক্রিয় ছিলো ।। ২০১২ সাল থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে দারুণ সরব থাকা এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার চেষ্টার অভিযোগ উত্থাপিত হয় ২০১৫ সালে।